বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

সুগন্ধী বেগুনি ফুলে ছেয়ে গেছে সৌদির মরুভূমি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গত বছরের শেষের দিকে ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়েছিল সৌদি আরবের একাংশ। বন্যা দেখা দিয়েছিল দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে। অথচ সেই একই বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে উত্তরাঞ্চলের জন্য। বাড়তি বৃষ্টির পর ফুলে ফুলে ছেঁয়ে গেছে সৌদির মরুভূমি। আর সেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে যাচ্ছে সৌন্দর্যপিপাসু মানুষের দল।

সৌদি আরবের মাঝামাঝি একটি শহরে থাকেন মুহাম্মাদ আল-মুতাইরি। বেগুনি ফুলে ছেঁয়ে থাকা মরুভূমির বিরল দৃশ্য দেখতে প্রায় ছয় ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ইরাক সীমান্তের কাছাকাছি রাফহা শহরে পৌঁছান তিনি। ৫০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত এ শিক্ষকের কথায়, সৌদি আরবে এমন দৃশ্য কেউই আশা করে না।

বেগুনি ফুলগুলো সৌদি আরবে ওয়াইল্ড ল্যাভেন্ডার নামে পরিচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সুগন্ধ ও দৃশ্য আত্মাকে সতেজ করে তোলে।

রাজধানী রিয়াদ থেকে রাফার মরুভূমি অঞ্চলের দূরত্ব ৭৭০ কিলোমিটার। বন্ধু বান্ধবসহ নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে এই পরিমাণ পথ পাড়ি দিয়ে উপস্থিত হয়েছেন সৌদি ব্যবসায়ী নাসের আল কারানি। পিকনিকের উদ্দেশ্যে গাড়িতে তাঁবু, খাবার ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জামও সঙ্গে এনেছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপি’কে তিনি বলেন, ‘আর মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন এই গাছগুলো টিকে থাকবে, তারপর সূর্যের তাপে শুকিয়ে যাবে।’

ফুলগাছ ঘেরা একটি ফাঁকা জায়গায় স্টোভে চায়ের কেতলি বসিয়ে চা বানান তিনি। চা খেতে খেতে তিনি বলেন, ‘এখানে আসার পর থেকে নিজেকে খুব নির্ভার লাগছে।’

৫৬ বছর বয়স্ক সৌদি নাগরিক হামজা আল-মুতাইরিও নিজের পরিবারের সদস্য ও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে বনভোজনের উদ্দেশে এসেছেন রাফায়। তিনি বলেন, ‘এখনে আসার পর থেকে জীবনের প্রতি নতুন করে আগ্রহী হয়ে উঠেছি।

দিগন্তজুড়ে ফুলের এই সমাহার দেখতে এমনকি কাতার থেকেও গাড়ি চালিয়ে ছুটে এসেছেন অনেকে। তেমনই একজন আবদুল রহগমান আল মারি।

‘এখানে আসতে আমার ১২ ঘণ্টা গাড়ি ড্রাইভ করতে হয়েছে; কিন্তু আসার পর থেকে কোনো ক্লান্তি বোধ হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, যেন স্বর্গে এসেছি।’

টিএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ