বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দুই দেশ তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের শঙ্কায় সত্যি হলো।

৬ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে আঘাত হানে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প। এতে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন বহু মানুষ। এরপর থেকে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেই সংখ্যা বর্তমানে ৫০ হাজারের গণ্ডি পার হয়ে গেছে। এরদোয়ান আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।

শুধু তুরস্কেই মৃত্যু হয়েছে ৪৪ হাজারের বেশি মানুষের। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কবলে সেদেশে এখনও পর্যন্ত ৪৪ হাজার ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৯১৪ জনের। তুরস্কের দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৯ দিন পেরিয়েছে। প্রবল শৈত্যপ্রবাহ, ঠাণ্ডা এবং তুষারপাতের মধ্যে উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য। তবুও তারা হাল ছাড়তে রাজি নন বলেই জানিয়েছেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের পর থেকে শতাধিক বার ‘আফটার শক’-এ কেঁপে উঠেছে তুরস্ক ও সিরিয়া। দুই দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। জাতিসংঘের অনুমান, শুধু তুরস্কেই ভেঙে পড়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার বাড়ি। সিরিয়াতেও অন্তত ৫০ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান ত্রাণকর্মীদের। ধ্বংসস্তূপের নিচে যে আরও কত হাজার মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, তারও কোনো পরিসংখ্যান নেই।

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দুদেশে এখন শুধুই স্বজন হারাদের কান্নার রোল। হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা চলছে লক্ষাধিক মানুষের। যারা বেঁচে গেছেন, তাদের খাবার, পানীয় ও ওষুধ সরবরাহ করতে নাজেহাল আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগঠনগুলো। পর্যাপ্ত খাবার এবং পানি ছাড়াই রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন ঘরবাড়ি হারানো বহু মানুষ।

টিএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ