মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৮ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
জেদের বশবর্তী হয়ে প্রকৃতির ক্ষতি করছে পাথর খেকোরা: আলী হাসান ওসামা ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে সংস্কার ও নতুন সংবিধান বাস্তবায়ন হবে না’ নোয়াখালীতে হেযবুত তওহীদ-এর কার্যক্রম বন্ধে স্মারকলিপি প্রদান  রাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের আংশিক প্যানেল ঘোষণা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ চাপে থাকায় মালয়েশিয়ার ‘উদ্বেগ’ প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা মালয়েশিয়ানদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা পোপকে গাজার শিশুদের রক্ষার আহ্বান জানালেন মার্কিন গায়িকা ম্যাডোনা বিএনপির চেয়ে দ্বিগুণ আয়, ৫ গুণ বেশি ব্যয় জামায়াতের প্রথম বার ঢাকায় আসছেন সৌদি যুবরাজ

পর্দানশীনদের জন্য ছবি ছাড়া এনআইডি দাবি ইবি ছাত্রীদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পর্দানশীন নারীদের জন্য ছবি ছাড়া এনআইডি কার্ডসহ তিন দফা দাবিতে সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীরা। পর্দানশীন নারীদের বিগত ১৬ বছর যাবত নাগরিকত্ব না দেওয়ার প্রতিবাদে এবং জড়িত স্বৈরাচারদের শাস্তির দাবি জানান তারা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত ছাত্রী এ কর্মসূচি পালন করেন।

তাদের তিন দফা দাবি হচ্ছে- বিগত ১৬ বছর যাবত পর্দানশীন নারীদের মানবাধিকার হরণ করা ইসি কর্মকর্তাদের বিচার, পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুণ্ন রেখেই এনআইডি প্রদান এবং পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ায় সময় মহিলা অফিস সহকারী বাধ্যতামূলক করা।

সমাবেশে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব বঞ্চিত করা মানবতাবিরোধী অপরাধ’, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে মুখচ্ছবি দেখে পরিচয় যাচাই মূর্খতার লক্ষণ’, ‘আমার চেহারা আমি দেখাবো না, এটা আমার প্রাইভেসির অধিকার’, ‘পরিপূর্ণ পর্দা করা আমার সাংবিধানিক অধিকার’সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। 

এ সময় পর্দানশীল ছাত্রীরা বলেন, গত ১৬ বছর যাবত ইসির কতিপয় স্বৈরাচারী কর্মকর্তা শুধুমাত্র মুখচ্ছবির অজুহাতে পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এতে পর্দানশীন নারীরা মৌলিক ও নাগরিক অধিকার বঞ্চিত হয়েছেন। যারা পর্দানশীন নারীদের মানবাধিকার হরণ করেছে তাদের বিচার করতে হবে।

তারা আরও বলেন, তাদের এই দাবি শুধু ধর্মীয় অধিকারের মধ্যে পড়ে না, প্রাইভেসির অধিকারের মধ্যেও পড়ে। ফলে দুই দিক থেকেই পর্দানশীন নারীদের দাবি মানবাধিকার ও সংবিধানিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। গত ১৬ বছর শুধুমাত্র পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে নারীদের সাথে যে বৈষম্য হয়েছে তার পরিসমাপ্তি চাই। নির্ভুল যাচাইয়ের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট এখন সর্বাধুনিক ও গ্রহণযোগ্য মাধ্যম। বর্তমানে এক ছবি একাধিক লোক ব্যবহারের প্রযুক্তিও আবিষ্কার হওয়ায় আধুনিক বিশ্ব মুখচ্ছবি দেখে পরিচয় যাচাই বর্জন করেছে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ