মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষ হত্যা মহাপাপ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মো: আবু তালহা তারীফ ||

সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জাতি মানুষ। মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা ইসলামে আলোচনা করা হয়েছে। বিদায় হজের ভাষণে লক্ষ সাহাবীগনের উপস্থিতিতে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,' মানুষের রক্ত তথা জীবন ও সম্পদ পরস্পরের জন্য হারাম এবং অন্যের জানমালের ক্ষতিসাধন করাও নিষিদ্ধ । কাউকে অহেতুক হত্যা করা সামাজিক অনাচার ও জুলুমের অন্তর্ভুক্ত।'

তাই শান্তির ধর্ম ইসলামে সব ধরনের হত্যা, রক্তপাত, সন্ত্রাস  কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শরীরের পেশিশক্তি, বংশের বড়াই করে সহিংসতা, নৃশংসতা,  নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, বিপর্যয়, হানাহানি, উগ্রতা, বর্বরতা, খুন-খারাবিসহ যেকোন অশান্তি সৃষ্টি করা সম্পূর্ণ ভাবে অন্যায়।

এ ব্যাপারে কোরআনে সুস্পষ্ট আলোচনা রয়েছে। কোরআন বলছে, ‘নরহত্যা কিংবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করা ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সব মানুষকেই হত্যা করল।’ সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৩২।

একটু লক্ষ্য করুন, কাউকে হত্যা করলে পরিবারের  একজন সদস্য অকালে নিহত হয়।  তার নিহত হওয়ায় পুরো পরিবারেই শোকের ছায়া নেমে আসে। খুন হওয়া ব্যক্তির আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয় পরিবার ও আত্মীয়রা।

কলিজার টুকরা সন্তানরা এতিম হয়ে যায়। স্ত্রী স্বামী হারা, স্বামী স্ত্রী হারা হয়ে যায়। সামাজিক ও পারিবারে আর্থনৈতিক সমস্যা চেপে বসে। একটি অন্যায় হত্যা  বিশ্বমানবতাকে হত্যার সমতুল্য বলা হয়েছে।

এজন্যই রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,‘সে আমার উম্মত নয়, যে আমার অন্য কোনো উম্মতকে অবৈধভাবে হত্যা করে। আবু দাউদ : ১৯২১।

খুনাখুনি,হত্যা ও রক্তপাত ইসলাম পছন্দ করে না। আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতে সর্বপ্রথম খুনের বিচার করবেন। সেদিনের খুনের বিচার হবে খুব কষ্টদায়ক।

তিরমিজি শরীফে উল্লেখ রয়েছে, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছন, ‘কেয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি তার হত্যাকারীর চুলের মুঠো ও মাথা ধরে আল্লাহর দরবারে এমন অবস্থায় হাজির হবে যে, তখন তার রগগুলো থেকে রক্ত পড়তে থাকবে। সে ফরিয়াদ করবে, হে আমার প্রভু! এই ব্যক্তিই আমাকে হত্যা করেছে। এই বলতে বলতে সে আরশের নিকটবর্তী হয়ে যাবে।

অন্য হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেন, ‘যদি আসমান জমিনের প্রত্যেকেই কোনো মোমিন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে প্রত্যেককেই জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে। তিরমিজি শরীফ।

খুন-খারাপী,  সমাজে অরজগজা তৈরি থেকে নিজকে রক্ষা করতে হবে। অন্যের ক্ষতি হয় এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহর ইবাদতে নিজকে নিয়োজিত রাখা খুবই জরুরী। মনে রাখবেন, দুনিয়া ক্ষনস্থায়ী। দুনিয়া থেকে চলে যেতে হবে। তাই পরকালে শান্তিতে থাকার কর্ম করতে হবে। অন্যকে হত্যা করলেই  জাহান্নামের মধ্যে চিরস্থায়ী ভাবে থাকতে হবে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে, তার শাস্তি জাহান্নাম। সেখানে সে চিরকাল থাকবে।’ সুরা : নিসা, আয়াত : ৯৩।

টিএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ