বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ঈদে মিলাদুন্নবী কি আসলেই ‘ঈদ’?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আল মারুফ:

মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তা'আলা দুটো ঈদ দিয়েছেন। একটি ঈদুল ফিতর অপরটি ঈদুল আযহা। তৃতীয় কোন ঈদের কথা কোরআন-সুন্নায় পাওয়া যায় না।

হাদিস শরীফে এসেছে, আনাস (রাঃ) বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আগমন করলে দেখলেন, সেখানকার অধিবাসীরা দুইটি দিন খেলাধূলা ও আনন্দ-উৎসব করে থাকে। তিনি (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেন, এই দুইটি দিন কিসের? তারা বলেন, জাহিলী যুগে আমরা এই দুই দিন খেলাধূলা ও উৎসব করতাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে এই দুই দিনের পরিবর্তে অন্য দুইটি উত্তম দিন দান করেছেন এবং তা হল: কুরবানীর ঈদ এবং রোযার ঈদ”। (আবূ দাঊদ, ১১৩৬)

সুতরাং ১২ই রবিউল আউয়ালকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলা ইসলামী শরীয়ার মধ্যে নতুন সংযোজন, যা একটি গর্হিত কাজ। এ ব্যাপারে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আমাদের ধর্মীয় ব্যাপারে এমন বিষয় উদ্ভাবন করে যা তাতে নেই, তা পরিত্যাজ্য।(মুসলিম-৪৩৪৩)

রবিউল আওয়াল মাসে যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেছেন তেমনি এ মাসে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এ মাস সুখ দুঃখের, নয় শুধু সুখের। এ বিষয়টিও ঈদে মিলাদুন্নবী নামকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এটা ভালবাসার পরিচয় নয়। ভালোবাসা হলো হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের সম্পর্ক। অন্তরের সাথে অন্তরের সম্পর্ক। দেখা যায় না। ছোঁয়া যায় না। তবে অনুভব করা যায়। এটা কোন বছর, মাস ও দিনের সাথে সম্পৃক্ত নয়।ভালবাসা মানে যাকে ভালবাসা হয় তার প্রতি হৃদয়ের গভীরে লালন করা এক অসীম আকর্ষণ, যে আকর্ষণের তীব্রতায় ভালোবাসার মানুষটির সান্নিধ্য পেতে ব্যাকুল হয়। ভালোবাসা মানে তার অনুসরণ-অনুকরণ করা। তার আদর্শ নিজের মধ্যে বাস্তবায়ন করা। এটাই মূল ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা এভাবেই প্রকাশ করেছিলেন। তারা জন্মবার্ষিকী মৃত্যুবার্ষিকীর পেছনে পড়েনি। তাই আসুন আমরাও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা প্রকাশ করি তাকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ ও আজীবন তার আদর্শ নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দান করুন। আমীন।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ