মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
দোয়া হল একান্তভাবে আল্লাহর কাছে চাওয়া, মুসলমানদের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। কুরআনে বলা হয়েছে, “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।” (সূরা গাফির: ৬০)। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অনেক সময় দীর্ঘদিন দোয়া করার পরও তা কবুল হয় না। কেন হয় না? আল্লাহ কি শুনছেন না, নাকি আমাদের মধ্যেই রয়েছে কোনো গাফিলতি?
হালাল ও হারামের প্রভাব:
দোয়ার কবুলের অন্যতম বড় শর্ত হলো হালাল উপার্জন ও হালাল ভরণপোষণ। রাসূল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি হারাম খায়, তার দোয়া কবুল হয় না।” (সহীহ মুসলিম)
ধৈর্য ও তাড়াহুড়ার অভাব:
অনেকে অল্প সময় দোয়া করে মনে করে দোয়া কবুল হয়নি, তাই ছেড়ে দেন। অথচ রাসূল (সা.) বলেন, “তোমরা যখন দোয়া করো, তখন কবুল না হওয়া পর্যন্ত দোয়া চালিয়ে যাও এবং তাড়াহুড়া করো না।” (বুখারি, মুসলিম)
দোয়ার মধ্যে আন্তরিকতা ও একাগ্রতার ঘাটতি:
মন না থাকা, অমনোযোগী হয়ে কেবল মুখে দোয়া করলে তা আল্লাহর দরবারে মূল্যহীন হয়।
পাপের ভার:
নবী (সা.) বলেন, “এক ব্যক্তি দীর্ঘ সফরে, ধূলিমাখা অবস্থায় দোয়া করছে, অথচ তার খাবার হারাম, পোশাক হারাম, রিজিক হারাম—কীভাবে তার দোয়া কবুল হবে?” (মুসলিম)
হিকমতের কারণে দোয়া দেরিতে কবুল:
আল্লাহ দোয়া কবুলে কখনো দেরি করেন আমাদের মঙ্গলের জন্য, কখনো তা আখিরাতে সঞ্চয় করে রাখেন, বা অন্য কোনো বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
দোয়া কখনোই বৃথা যায় না। আমাদের করণীয় হলো পবিত্র অন্তর নিয়ে, ধৈর্যসহকারে, হালাল রুজির মাধ্যমে, গুনাহ থেকে বেঁচে থেকে দোয়া করে যাওয়া। আল্লাহ সবচেয়ে ভালো সময়েই আমাদের চাওয়াকে পূর্ণ করেন—আমাদের মঙ্গল অনুযায়ী।
আরএইচ/