বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি

কার্গিল যুদ্ধে সায় না দেওয়ায় আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় : নওয়াজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ

১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে তার সায় ছিল না। আর পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফের কার্গিল পরিকল্পনায় সায় না দেওয়ার জন্যই নাকি তাকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। 

আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) বা পিএমএল (এন)-ও। তার আগে নওয়াজের এই মন্তব্য ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করার ইঙ্গিত কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

গত শনিবার একটি সাক্ষাৎকারে নওয়াজকে প্রশ্ন করা হয়, কেন তাকে বার বার ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে। প্রশ্নের উত্তরে ১৯৯৯ সালের ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, আমি কার্গিল পরিকল্পনার কথা শুনে তার বিরোধিতা করি। বলি এটা সম্ভব হবে না। পরে আমার কথাই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়। কিন্তু আমাকে ক্ষমতা হারাতে হয়।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির উপরে জোর দেন নওয়াজ। আলাদা করে উল্লেখ করেন ভারতের কথা। স্মরণ করিয়ে দেন যে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে কেবল তার আমলেই ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী (অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং নরেন্দ্র মোদী) পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, কারাবন্দী  ইমরান খানকে ‘অনভিজ্ঞ’ বলেও কটাক্ষ করেন।

নওয়াজের দাবি, তার দল (পিএমএলএন) শাসনভার গ্রহণ না করলে অর্থনীতি খাদের কিনারায় পৌঁছে যেত।

১৯৯৯-এর মে মাসে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে মুশকো, দ্রাস, কাকসার এবং বাতালিক সেক্টর, কার্গিল সেক্টরে ঢুকে পড়েছিল পাকবাহিনী। তাদের সরিয়ে দিতে অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন বিজয়’। ১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই কার্গিল যুদ্ধে নিহত হয়েছিল প্রায় ৫০০ জন ভারতীয় জওয়ান। সে সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ