শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩১ ।। ২৯ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঈদের ফিরতি ট্রেনের টিকিট : সর্বশেষ দিন ৩০ মার্চ। চাঁদ দেখা কমিটির সভা রোববার, জানা যাবে কবে ঈদ জুমার সময় ভূমিকম্প, মসজিদ ধসে নিহত অন্তত ২০ ক্ষমা করে দেই ; ক্ষমা নিয়ে নেই ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহত ১৪৪, থাইল্যান্ডে ধ্বংসস্তূপের নিচে শতাধিক মানুষ কাবা প্রাঙ্গণে টানা ৩৫ বছর কোরআন খতমের রেকর্ড গড়বেন যিনি শরহে বেকায়ায় ১ম স্থান নারায়ণগঞ্জের জামিআ উম্মে মুআয তা'লীমুননিসা’র  হিফজুল কুরআনে সারাদেশে প্রথম গাজীপুরের বাইতুল হিকমাহ’র শিক্ষার্থী মু’তাসিম বিল্লাহ  ৩ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ এবং জুন মাসে জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে আহত নূরুল করীম আকরামের খোঁজ নিতে হাসপাতালে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ

মসজিদে হারামে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির নামাজ আদায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পবিত্র রমজানে ওমরা পালনের জন্য মক্কার মসজিদে হারামে সারা বিশ্বের মুসলমানেরা ভিড় করেছেন। এতে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লি দেখল সৌদি আরবের মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ। রমজানের ২২তম দিন থেকে ২৩তম রাত পর্যন্ত ৩০ লাখেরও বেশি মুসল্লি একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করেছেন, যা এ মৌসুমের অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ বলে মনে করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দিনভর মসজিদে ধারাবাহিকভাবে মুসল্লিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ফজরের নামাজে ৫ লাখ ৯২ হাজার ১০০ মুসল্লি, জোহরে ৫ লাখ ১৮ হাজার, আসরে ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭০০, মাগরিবে ৭ লাখ ১০ হাজার ৫০০ মুসল্লি এবং এশা ও তারাবিহতে ৭ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ মুসল্লি ছিলেন। এছাড়া, মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বারগুলোর মাধ্যমে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ ওমরাহ পালনকারী প্রবেশ করেছেন। খবর গালফ নিউজের।

কিং আবদুল আজিজ গেট দিয়ে সর্বাধিক ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ ওমরা পালনকারী প্রবেশ করেছেন, যা অন্য সব প্রবেশদ্বারের তুলনায় সর্বোচ্চ।

এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বারগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসল্লির সমাগম হয়। কিং ফাহদ গেটে ১,৭২,৭০০ মুসল্লি, বাব আল-ওমরাহ গেটে ১,১১,৪০০ মুসল্লি, বাব আল-হুদাইবিয়া গেটে ৬৯,৬০০ মুসল্লি এবং বাব আল-সালাম গেট দিয়ে ৩২,৩০০ মুসল্লি ভেতরে ঢুকেন।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে উন্নত ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এতে মসজিদের বিশাল পরিসরে চলাচল সহজ এবং সুশৃঙ্খল রাখা সম্ভব হচ্ছে।

এতো বিশাল সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতির অন্যতম কারণ হলো লাইলাতুল কদর পাওয়ার আশা। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে লাইলাতুল কদর থাকার সম্ভাবনা বেশি, যা এক হাজার মাসের চেয়েও বেশি ফজিলতপূর্ণ। এই বিশেষ রাতের বরকত লাভের আশায় অনেক মুসল্লি ইচ্ছাকৃতভাবে গ্র্যান্ড মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন। ২৩তম রাত উপলক্ষে মুসল্লিদের উপস্থিতি আরও বেড়ে যায়, যা তাদের আধ্যাত্মিক সংযোগকে গভীরতর করে এবং ইবাদতের সওয়াব বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ