মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবন ছিল সাদেকী জিন্দেগির এক উৎকৃষ্ট নমুনা। খাওয়া-দাওয়ায়ও তিনি ছিলেন খুবই সংযমী। এক বেলা খেতেন তো আল্লাহর শোকর আদায় করতেন। আর অন্য বেলায় খাবার না থাকলে সবর করতেন। সবর এবং শোকরের এক অসামান্য জিন্দেগি ছিল মহান এই মানুষটির। খাবার হালাল হলেই তিনি সেটা খেতেন । খাবারে ছিল না কোনো বাছবিচার! তবে এর মধ্যেও এমন কিছু খাবার রয়েছে হালাল হওয়ার পরেও নবীজি সেসব খাবার খেতে অপছন্দ করতেন। বিরত থাকতেন সেগুলো খাওয়া থেকেও।
অতিরিক্ত গরম খাবার
নবীজি কখনোই অতিরিক্ত গরম খাবার মুখে দিতেন না। কারণ, গরম খাবার তার কাছে অপছন্দনীয় ছিল। ধোঁয়া উঠা কোনো খাবার তার সামনে এলে তিনি সেটা তৎক্ষণাত খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন। খাবারটি ঠান্ডা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতেন। পুরোপুরি ঠান্ডা হলেই তিনি সেই খাবার খেতেন। এক হাদীসে আছে, রাসুল (স.) কখনোই গরম খাবার খেতেন না, বলতেন গরম খাবার বরকতহীন।
কাঁচা রসুন ও কাঁচা পেঁয়াজ
কাঁচা রসুন ও কাঁচা পেঁয়াজ হালাল হলেও নবীজি এই দুটি খাবার খাওয়া থেকে সবসময় বিরত থাকতেন। কারণ, কাঁচা রসুন কাঁচা পেঁয়াজ মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। তাই এই খাবার দুটো নিজেতো খেতেনই না, অন্যদেরও খেতে নিরুৎসাহিত করতেন। বিশেষ করে কাঁচা রসুন ও কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে নবীজি মসজিদের নিকটবর্তী হতে নিষেধ করেছেন। কাঁচা রসুন ও কাঁচা পেঁয়াজের দুর্গন্ধের কারণে ফেরেশতারা কষ্ট পায়।
দব্বের গোশত
দব্ব বা গুইসাপ সদৃশ প্রাণিটির গোশত বিভিন্ন মাযহাবের দৃষ্টিতে হালাল হলেও নবীজির কাছে দব্বের গোশত অপছন্দনীয় ছিল। তিনি কখনোই এই গোশত খাননি। নবীজি বলতেন, দব্বের গোশত খাওয়া হারাম নয়, কিন্তু এটা যেহেতু আমাদের অঞ্চলে নাই তাই এই গোশতটা আমার অপছন্দনীয়।
এনএইচ/