শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যের মায়ের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক মদিনায় তিন বছর ধরে আইসিইউতে থাকা এক বাংলাদেশি আলেমের করুণ কাহিনি আল্লামা আহমদ শফী রহ.: খণ্ড খণ্ড গল্প চামড়ায় দেওয়া লবণে রং মিশিয়ে তৈরি হতো বিট লবণ

রাষ্ট্রীয়ভাবে শরিয়া আইন বাস্তবায়ন না চাওয়ার বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

ইসলাম শুধু একটি ধর্মীয় উপাসনার নাম নয়; এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তি, সমাজ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নির্দেশনা। এই পরিপূর্ণ ব্যবস্থার ভিত্তি হচ্ছে শরিয়াহ বা ইসলামি আইন। একজন মুসলমান শুধু ব্যক্তিজীবনে নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পরিসরেও ইসলামের শাসন সমর্থন করবে এটাই ঈমানের দাবী। 

শরিয়াহ আইন বলতে বোঝায় কুরআন, হাদীস, ইজমা ও কিয়াসভিত্তিক আইনব্যবস্থা, যা মানুষের যাবতীয় দিক নির্ধারণ করে।  আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা আল্লাহর অবতীর্ণ বিধান অনুযায়ী বিচার করো এবং খেয়াল খুশিমতো শাসন করো না।”— (সূরা আল-মায়েদা ৫:৪৯)

রাষ্ট্রীয়ভাবে শরিয়া বাস্তবায়ন না চাওয়াকে ইসলাম কীভাবে দেখে?

১. শরিয়া অস্বীকার করা

যদি কেউ মনে করে ইসলামি আইন বা শরিয়াহ আজকের যুগে অপ্রাসঙ্গিক, বর্বর বা পুরাতন, তবে তা কুফরি মতবাদ। এটি কুরআন ও সুন্নাহকে প্রত্যাখ্যান করার শামিল। আল্লাহ তায়ালা বলেন  “যে ব্যক্তি আল্লাহর অবতীর্ণ বিধান অনুযায়ী বিচার করে না, তারা কাফের।”—(সূরা আল-মায়েদা ৫:৪৪)

২. অগ্রাধিকার না দেওয়া

কেউ যদি মুখে ইসলাম মেনে নেয়, কিন্তু রাষ্ট্রে শরিয়া চাই না—কারণ দুনিয়ার আইনই যথেষ্ট মনে করে—তাহলে সে শরিয়ার গুরুত্ব অস্বীকার করছে। ফিকাহ অনুযায়ী এটি নিফাক (কপটতা) এর পর্যায়ে পড়ে।

৩. মুসলিম হয়ে শরিয়া প্রতিরোধ করা

একজন ব্যক্তি নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করে, কিন্তু শরিয়া বাস্তবায়ন হলে ভয় পায়, বিরোধিতা করে, এটা ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার নামান্তর। শরিয়া বাস্তবায়ন হলো মুসলমানের জন্য কল্যাণ, এতে ভয় বা বিরক্তি প্রকাশ ঈমানহানির লক্ষণ।

ইসলামি শরিয়াহ শুধু ব্যক্তিগত আমল নয়, বরং রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়নযোগ্য একটি পূর্ণাঙ্গ আইনব্যবস্থা। কেউ যদি মুসলিম পরিচয় বহন করেও শরিয়া বাস্তবায়নের বিরোধিতা করে, শরিয়া চায় না বা আধুনিক আইনের অগ্রাধিকার দেয়, তবে তা ঈমানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইসলাম এমন মানসিকতা গ্রহণ করে না। বরং ইসলামের দৃষ্টিতে এরূপ বিশ্বাস ঈমানের ঘাটতির প্রমাণ এবং অনেক ক্ষেত্রে মুরতাদ বলেও ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। 

সুতরাং, একজন প্রকৃত মুসলমানের জন্য শরিয়াহ চাওয়া শুধু ইচ্ছার বিষয় নয়—এটি ঈমানের দাবী।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ