রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে

দেশের ৯০ ভাগ নারী এই কমিশনের বিরুদ্ধে: আমিরে মজলিস


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগ্রহিত

সম্প্রতি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে দেশের ৯০ ভাগ নারী এই কমিশনের বিরুদ্ধে বলে মনে করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। এজন্য অনতিবিলম্বে এই কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার নিন্দা জানিয়ে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসলামবিরোধী প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে। সাবেক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলেও এত বড় দুঃসাহস কেউ দেখায়নি। তারা ইসলামের আদেশকে বড় বৈষম্য বলে দাবি করেছেন। নিজ ধর্ম বাদ দিয়ে যেকোনো ধর্মের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিব্যক্তি করেছেন। এই কমিশন ইসলামকে কটাক্ষ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ নারী এর বিপক্ষে অবস্থান নেবেন।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে চালানো ৫টি গণহত্যা এবং হাজার হাজার গুম খুনের কারণে এই দলের নেতা শেখ হাসিনাসহ সবার বিচার করতে হবে। সবার বিচার শেষে যদি কোনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী অবশিষ্ট থাকে, তবেই তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হোক। তবে আমার বিশ্বাস, বিচার হলে আওয়ামী লীগ চালানোর মতো কোনো ব্যক্তি থাকবে না।

শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৭ কোটি মানুষের ইচ্ছা ও অধিকারকে জলাঞ্জলি দিয়েছেন। তিনি ভারত থেকে ইন্দিরা গান্ধীর দেওয়া ধর্মীয় মতবাদ আমদানি করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ ভারতের শৃঙ্খলে জিম্মি হয়ে আছে। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশে আর কোনোদিন ভারতের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অল্প সময়ে এই সরকার বিভিন্ন উদ্যেগ নিয়েছেন। বিশেষ করে গত মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়েছে, লোডশেডিং হয়নি। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে।

উক্ত গণ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হুসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মুসা, কেন্দ্রিয় বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহিনুর আলম।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ