বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করব’ বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে

জরুরি অবস্থা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করতে একমত সব দল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে একমত সব রাজনৈতিক দল।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জরুরি অবস্থা যেন ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়ে একমত হয়েছে সবাই।’

সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১০ দিনের দীর্ঘ আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে সবাই একমত হয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত জাতীয় সংসদে বিতর্কের মাধ্যমে হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একমত হয়েছি যে জরুরি অবস্থা যেন রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার না হয়, কারণ অতীতে এর অপব্যবহার হয়েছে। কিন্তু আমাদের মত হলো—এটা নিয়ে জাতীয় সংসদে বিস্তারিত ডিবেট হওয়া উচিত। কারণ এর সঙ্গে জড়িত কিছু বিস্তারিত আইন প্রণয়নের বিষয় রয়েছে। সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হতে পারে। সেগুলো সেখানেই বিবেচনা করা উচিত।’

কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান সংবিধানে জরুরি অবস্থা জারির যে বিধান রয়েছে, তা ভয়াবহভাবে নাগরিক অধিকারকে সংকুচিত করে এবং আদালতের ক্ষমতাও একরকম স্থবির করে দেয়।

এ কারণে সংবিধানের ১৪১ (ক), (খ), (গ) অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৬০ দিনের বেশি করা যাবে না। সেই সময়ও সংবিধান-নিশ্চিত নাগরিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই নাগরিকদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার খর্ব করা যাবে না।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ