বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করব’ বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে

ঢাকায় ফ্ল্যাট পাচ্ছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জন্য ঢাকায় বিনামূল্যে ফ্ল্যাট প্রদানের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। রাজধানীর মিরপুর ৯ নম্বরে সরকারি জমিতে নির্মিত হবে ১,৫৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট, যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হবে আহতদের মধ্যে। এই প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১,৩৪৪ কোটি টাকা, যা সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হবে।

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এসব ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ১,২৫০ বর্গফুট, যাতে থাকবে দুটি শয়নকক্ষ, ড্রয়িংরুম, লিভিংরুম, খাবার কক্ষ, রান্নাঘর এবং তিনটি শৌচাগার। গুরুতর আহত বা পঙ্গু ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হবে কক্ষগুলো, যাতে তাদের চলাচল ও ব্যবহারে সুবিধা হয়।

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির জানিয়েছেন, "এই প্রকল্পে প্রথমে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হবে এবং চার বছরের মধ্যে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে। প্রকল্পে ফ্ল্যাট দেওয়ার জন্য কোন ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবেন, তা নির্ধারণ করবে জুলাই অধিদপ্তর, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথ সিদ্ধান্ত।"

এছাড়া, জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য একটি আলাদা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যেখানে মিরপুর ১৪ নম্বরে ৮০৪টি ফ্ল্যাট নির্মিত হবে। এই প্রকল্পে মোট খরচ হবে ৭৬২ কোটি টাকা, এবং প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ১,৩৫৫ বর্গফুট।

প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জমির নিচু অবস্থান কারণে অতীতে এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়নি। তবে, বর্তমানে জমিটি ভরাট করে নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে, যার জন্য আনুমানিক ১২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যদিও সরকারি নীতিমালায় উল্লেখ আছে, ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে প্রকল্প নেওয়ার আগে সমীক্ষা করতে হয়, কিন্তু এই প্রকল্পে তেমন কোনো সমীক্ষা হয়নি।

সরকারি তালিকায়, ৪৯৩ জনকে ‘অতি গুরুতর আহত’ এবং ৯০৮ জনকে ‘গুরুতর আহত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, মোট আহত সংখ্যা ১,৪০১ জন। এসব আহতদের মধ্যে ১৯ জন দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ হারিয়েছেন, আর ৩৮২ জন একটি চোখ হারিয়েছেন। এছাড়া, কিছু ব্যক্তি পা হারিয়েছেন। এজন্য ভবনটির ডিজাইন এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে পঙ্গু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সহজে চলাচল করতে পারেন।

৭ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা হয়। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, চলতি জুলাই মাসেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দুটি প্রকল্পই চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে। ২০২৯ সালের মধ্যে উভয় প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ