শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ঋণ এসেছে ২০ কোটি পরিশোধে গেছে ৪৪ কোটি ডলার


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

দেশে নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্বলতার কারণে বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। বিপরীতে আগের নেওয়া ঋণ পরিশোধের চাপ তো আছেই। সে ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেও বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে ঋণ পরিশোধের চাপ।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিদেশি ঋণের যে অর্থছাড় হয়েছে, বিপরীতে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। তবে ঋণ প্রতিশ্রুতি আগের বছরের তুলনায় সামান্য কিছু বেড়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রকল্পগুলোতে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ২০ কোটি ২৭ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড় হয়েছিল ৩৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় কমেছে ৪৩ শতাংশের বেশি।

দেশের বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্পগুলোতে অর্থছাড় কমে গেলেও আগের নেওয়া ঋণ পরিশোধে বড় চাপে পড়তে হচ্ছে সরকারকে। জুলাই মাসে সরকারকে সুদ ও আসলসহ ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ৪৪ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের কিছু বেশি। একই সময়ে ঋণের অর্থছাড় হয়েছে মাত্র ২০ কোটি ২৭ লাখ ডলার। অর্থাৎ বিদেশি মুদ্রা আসার চেয়ে পরিশোধে চলে গেছে দ্বিগুণেরও বেশি।

তা ছাড়া আগের বছরের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে ঋণ পরিশোধের চাপ প্রতি মাসেই বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে ৪৪ কোটি ৬৬ লাখ ঋণ পরিশোধের তুলনায় আগের বছরের জুলাইয়ে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩৮ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ঋণ ও সুদ পরিশোধ বেড়েছে ১৬ শতাংশ। মোট ঋণ পরিশোধের মধ্যে ৩২ কোটি ৭৭ লাখ ডলার আসল, বাকি ১১ কোটি ৮৯ লাখ ডলার ঋণের বিপরীত সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে দেশের।

তবে এ সময় ঋণ প্রতিশ্রুতি আগের বছরের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। জুলাইয়ে ঋণ প্রতিশ্রুতি এসেছে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে প্রতিশ্রুতি এসেছিল ১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। বছরের ব্যবধানে ৪০৯ শতাংশ প্রতিশ্রুতি বাড়িয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। অন্যান্য মাসের মতোই চলতি অর্থবছরেও উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে প্রতিশ্রুতিতে এগিয়ে আছে এডিবি, এআইআইবি ও আইডিএ। দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে শুধুমাত্র জাপান।

সাধারণত অর্থছাড় নির্ভর করে প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর। চলতি অর্থবছরে উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের ধারবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও এডিপি বাস্তবায়নে বেহাল দশা দেখা যাচ্ছে।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ