শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭


বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ভাই নিয়োগ পেলেন বিজিবিতে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন। মর্মস্পর্শী ওই হত্যাকাণ্ড দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। সেই ফেলানীর ছোট ভাই আরফান হোসেন নিয়োগ পেয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি)। 

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আরফানের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) আয়োজিত সিপাহি পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন আরফান। 

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে আরফান বলেন, ‘বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কাজ করা। ফেলানী হত্যার পর মানুষ যে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, তখন থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল বিজিবিতে যোগ দেওয়ার। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।

বিজিবিকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়েকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে দেশবাসী আর বিজিবি সব সময় আমাদের পাশে ছিল।

তারা দোকান করে দিয়ে আমাদের সহায়তা করেছে। আজ মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে সুযোগ পেল আমার ছেলে। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।’

লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। ফেলানীর ছোট ভাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণকেন্দ্রে যোগ দেবে।

আমরা বিশ্বাস করি, প্রশিক্ষণ শেষে তিনি একজন দক্ষ সদস্য হিসেবে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবেন।’ তিনি বলেন, ‘ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সীমান্তে সর্বদা সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।’

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ