রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম

নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের জঞ্জাল দূর করতে জাতি একটি সামগ্রিক সংস্কারের প্রত্যাশা করছে। সেই সংস্কার হবে দেশের মানুষের বিশ্বাস, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।

তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে সরকারের বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাব মানুষের প্রত্যাশার সঙ্গে অনেকটাই সাযুজ্যপূর্ণ হলেও নারী বিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করেছে। এ ধরনের প্রস্তাব জনরোষ উসকে দেবে এবং তা পতিত ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দেবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, সরকারকে অবিলম্বে নারী বিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং কমিশনটি বাতিল করতে হবে।

বিবৃতিতে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন গণ আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে সেক্যুলারিজমকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব করেছে। অথচ নারী বিষয়ক কমিশন "ইহজাগতিক" রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রস্তাব করে সংবিধান সংস্কার কমিশনের বিপরীত অবস্থান নিয়েছে। এতে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন,বাংলাদেশে বহুবছর ধরে পারিবারিক আইন ধর্মভিত্তিক। শুধু বাংলাদেশ নয় বরং ভারতসহ অধিকাংশ দেশেই পারিবারিক আইনের ভিত্তি ধর্ম। কারণ, সকল দেশ ও সভ্যতায় ধর্ম মেনেই পরিবার গঠন হয়। এর বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগও নাই। কিন্তু এই কমিশন পারিবারিক আইনের ভিত্তি বদলে দেয়ার প্রস্তাব করে জনরোষ উস্কে দেয়ার অপচেষ্টা করেছে। এই ধরণের অপচেষ্টা আমরা সাম্প্রতিক বিজেপির ভারতে দেখতে পাই। আমরা আশংকা করছি নারী কমিশনের সদস্যগণ ভারত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিপ্লবোত্তর সরকারকে বিতর্কিত করতে এবং তাদের সাথে থাকা গণসমর্থনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এ ধরণের প্রস্তাব দিয়ে থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত, কিন্তু পারিবারিক আইন থেকে ইসলামি ব্যবস্থাকে বাদ দেয়া বরদাশত করবে না। সরকার যদি নারী কমিশনের প্রস্তাব গ্রহণ করে, তবে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন হ্রাস পেতে পারে এবং বিক্ষোভ শুরু হতে পারে। তাই সরকারকে অবিলম্বে কমিশন বাতিল করে দেশের নারীদের যথার্থ প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠনের আহ্বান জানান তিনি।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ