বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ এবং মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ আজ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের একতরফা আগ্রাসন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইরান ও গাজা—উভয় স্থানে যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। এসব হামলা প্রতিনিয়ত অব্যাহত রয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, ইরানের তেল, গ্যাস ও পরমাণু স্থাপনায় ধারাবাহিক হামলা চলছে। গতরাত্রেও সেখানে হামলা হয়েছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে—আজ রাতেও নতুন করে হামলা হতে পারে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন—এই হামলা থামবে না। একদিকে রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা, অন্যদিকে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা—এটি আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
তারা আরও বলেন, গাজা উপত্যকায় গণহত্যাও চলছে নৃশংসভাবে। প্রতিদিন সেখানে শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হচ্ছে। পুরো গাজা যেন আজ একটি উন্মুক্ত কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। খাবার, পানি, ওষুধ—কিছুই নেই; আছে শুধু আগুন, বারুদের ধোঁয়া ও মৃত্যু।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, এই বর্বরতার প্রেক্ষাপটে ইরানের পক্ষ থেকে প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক আইন ও মুসলিম মর্যাদা রক্ষার অধিকার সম্মত পদক্ষেপ। প্রতিরোধ কোনো আগ্রাসন নয়—বরং নির্যাতনের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত প্রতিক্রিয়া।
তারা বলেন, ইসরাইলের এই আগ্রাসন শুধু ইরান বা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে নয়—পুরো মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের নিরবতা আত্মঘাতী। আমরা ওআইসি, আরব লীগ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রসমূহের প্রতি আহ্বান জানাই—তারা যেন মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ইরান ও ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ান।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিও আহ্বান জানানো হয়—
তারা যেন নিরপেক্ষ ও ন্যায়নিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। নেতানিয়াহুর প্রকাশ্য যুদ্ধ ঘোষণা বিশ্বশান্তির জন্য ভয়ংকর হুমকি হয়ে উঠেছে।
বিবৃতির শেষে নেতৃদ্বয় বলেন, ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধই আজ সময়ের দাবি। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ইরানের প্রতিরোধ এবং ফিলিস্তিনের সংগ্রামের প্রতি তাদের আদর্শিক ও রাজনৈতিক সংহতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
এমএইচ/