রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম

দ্রুত গুম-খুনের বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি খালেদা জিয়ার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে গুম, খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। একইসঙ্গে এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর দ্রুত বিচার কার্যকর এবং শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের পরিবারের জন্য সম্মানজনক পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘গণঅভ‍্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে খালেদা জিয়া এসব দাবি জানান। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার বক্তব্যে বলেন,

“রক্তস্নাত জুলাই-আগস্ট আমাদের মাঝে এক বছর পর আবার ফিরে এসেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন, গ্রেফতার, গুম-খুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী।"

তিনি আরও বলেন, "ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে এবং বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা। তাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে।"

খালেদা জিয়া বলেন, “গুম-খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার যারা হয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য সম্মানজনক পুনর্বাসন এবং নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রিয় দেশবাসী, আমাদের সামনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার, তা আমাদের দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে যেকোনো মূল্যে।”

খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে শেষাংশে বলেন, “জুলাইয়ের এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায়। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শহীদ জিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি, এবং কোটি মানুষের বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করি।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ