বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

এখন কথার ফুলঝুরি দিয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ: আমীর খসরু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এখন আর কথার ফুলঝুরি দিয়ে রাজনীতি করার সময় নেই। বিএনপি তাই সুনির্দিষ্ট নীতি ও পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশ পরিচালনার রূপরেখা দিচ্ছে। শ্রমিক-কৃষকসহ সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের অধিকার, নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার, এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করেই অর্থনীতি ও রাজনীতি পরিচালনা করতে হবে।

বুধবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে স্কুল অব লিডারশিপ ইউএসএ–এর বাংলাদেশ শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরানো জরুরি ছিল। কিন্তু নির্বাচন না হওয়ায় দেশ ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে। জনগণ ও সরকারের মধ্যে এখন কোনো সেতুবন্ধন নেই। এর প্রভাব পড়ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রমেও।

তিনি জানান, বিনিয়োগকারীরা আস্থার অভাবে নতুন বিনিয়োগে আসছেন না। সম্প্রতি আয়োজিত এক বিনিয়োগ সম্মেলনে নতুন বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছিল না, বরং বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরাই উপস্থিত ছিলেন। তবে নির্বাচনের ঘোষণা আসার পর থেকে জাপানি ডেলিগেশনসহ অনেকেই বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছেন এবং তারা নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৫–১৬ বছরে একটি গোষ্ঠীকেন্দ্রিক অর্থনীতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে বাজার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং অর্থনীতির মূল কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই বিএনপি ‘অর্থনীতির গণতন্ত্রায়ন’ স্লোগানকে সামনে রেখেছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “রাজনীতিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেও যদি অর্থনীতি মুষ্টিমেয় মানুষের পকেটে বন্দি থাকে, তবে গণতন্ত্র কার্যকর হবে না। প্রকৃত গণতন্ত্র তখনই বাস্তবায়িত হবে যখন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও পরিবার—সব ক্ষেত্রেই গণতন্ত্রায়ন নিশ্চিত হবে।”

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের অঙ্গীকার তুলে ধরে তিনি জানান, বিএনপি জিডিপির পাঁচ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে এবং সমপরিমাণ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিকল্পনা করেছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতে মাত্র এক শতাংশ ব্যয় হচ্ছে, যার বড় অংশ দুর্নীতিতে নষ্ট হচ্ছে। পাঁচ শতাংশ বিনিয়োগ মানবসম্পদ উন্নয়নে গুণগত পরিবর্তন আনবে।

আমীর খসরু আরও বলেন, বিএনপি জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের কোনো কৃতিত্ব দাবি করে না। এটি বাংলাদেশের জনগণেরই কৃতিত্ব। অতীত নিয়ে সময়ক্ষেপণের পরিবর্তে ভবিষ্যতের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নই এখন জরুরি।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ