ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদে রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলেও বাংলাদেশের ইতিহাসে এর প্রভাব, গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। তাই গোটা দেশের দৃষ্টি আগামীকাল ডাকসু নির্বাচনের দিকে থাকবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী রাজনীতির চারিত্রিক ও সাংস্কৃতিক যাত্রাপথ স্পষ্ট হবে। তাই আমরা চাই, ডাকসু নির্বাচন আমাদের জন্য একটি মডেল হয়ে থাকুক। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি যে, এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং আনন্দমুখর করতে যা যা করার তাই করুন। শক্তহাতে প্রশাসন পরিচালনা করুন। গোয়েন্দা তথ্যকে কাজে লাগান। কোনো অবস্থাতেই অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটে তার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নিন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, রাজবাড়ী, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও হাটহাজারীতে প্রশাসনের যে ভূমিকা জাতি দেখেছে তাতে আশংকার ভিত্তি আছে। আমরা চাই, প্রশাসন সক্রিয় থেকে অঘটন ঘটার আগেই প্রতিরোধ করুক। অঘটন ঘটার পরে হম্বিতম্বি করার কোন অর্থ হয় না।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এখানে পড়াশোনা-গবেষণাই মুখ্য হওয়া উচিত। সেই হিসেবে ডাকসু শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে বলেই বিশ্বাস করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্যানেল রয়েছে ডাকসু নির্বাচনে। সেই প্যানেলে শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান পীর সাহেব চরমোনাই।
এমএইচ/