বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা মনে করছেন নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটিয়ে বা বাধাগ্রস্ত করে তারা উপকৃত হবেন তারা বড় ভুল করছেন। এতে বাংলাদেশের মানুষ কোনোভাবেই উপকৃত হবে না।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি, তাই সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছরের আন্দোলনে বিএনপির প্রায় দুই হাজার তরুণ ও কিশোর কর্মী প্রাণ দিয়েছেন এবং প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আজকে যখন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তখনই দেশের শত্রুরা গণতন্ত্রকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, একমাত্র আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কোনো শক্তি তাকে এই অঙ্গীকার থেকে বিরত রাখতে পারবে না,” যোগ করেন তিনি।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিনকে সভাপতি এবং যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। জেলার পাঁচ উপজেলা ও তিন পৌরসভার মোট ৮০৮ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে নতুন নেতৃত্ব বেছে নেন।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূর করিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশন এবং আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের পর এটাই ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির প্রথম সম্মেলন।
এমএইচ/