শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের ৮ম অধিবেশন রাজধানীর মতিঝিলস্থ মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনের যৌথ পরিচালনায় অধিবেশনে সারাদেশ থেকে প্রায় দুই সহস্রাধিক তৃণমূল নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
পরে একই স্থানে বিকেল সাড়ে তিনটায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার জরুরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
উভয় অধিবেশনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া বিষয়ে আলোচনা হয়। মজলিসে শুরার সদস্যগণ এবং তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ মৌখিক ও লিখিতভাবে মতামত প্রদান করেন— সংগঠনটি এককভাবে, অপরাপর ইসলামী দলের সঙ্গে আসনভিত্তিক সমঝোতার মাধ্যমে, নাকি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আমিরে মজলিস মাওলানা মামুনুল হক উপরোক্ত তিনটি প্রক্রিয়ার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে বলেন, যেকোনো মতামত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের ইসলাম, দেশ ও সংগঠনের কল্যাণকে পর্যায়ক্রমে বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে কাউকেই চূড়ান্ত বন্ধু বা শত্রু মনে করা যায় না; বরং ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। মতামতের ভিত্তিতে যেই সিদ্ধান্তই গৃহীত হোক, সবাইকে তা মেনে নিতে হবে।
সংগঠনের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি মহান আল্লাহর দরবারে দোয়ার আহ্বান জানান মাওলানা মামুনুল হক।
তিনি সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষিত প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী না হলেও আগামী পাঁচ বছর আপদ-বিপদে সর্বশক্তি নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের পাশে থাকতে হবে।
এসব অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, অভিভাবক পরিষদের অন্যতম সদস্য মাওলানা আকরাম আলী, নায়েবে আমীর মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা আলী উসমান, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী ও মাওলানা মাহবুবুল হক প্রমুখ।
অধিবেশনে বক্তারা বলেন, আমরা যেই মতামতই দেই না কেন— আমীরে মজলিসের নেতৃত্বে সংগঠনের যেকোনো সিদ্ধান্তে আমাদের পূর্ণ আস্থা ও নিঃশর্ত সমর্থন থাকবে। ইসলামের কল্যাণে আল্লামা মামুনুল হক আমাদের নির্ভরতার প্রতীক।
তারা বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং খেলাফতভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। প্রচলিত ধারার নির্বাচনে অংশগ্রহণকে আমরা আমাদের মূল লক্ষ্য অর্জনের সহায়ক মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি।
অন্যান্যদের মধ্যে অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান।
সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মুফতি ওজায়ের আমীন, মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, মাওলানা মুহসিনুল হাসান, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী।
প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন খান, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নূর মুহাম্মদ আজীজী, মাওলানা জসিমউদ্দিন, সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক ক্বারী হোসাইন আহমদ।
নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মুফতি হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা সাব্বির আহমদ উসমানী, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা আব্দুল মুমিন, মাওলানা মুহসিন উদ্দীন বেলালী, মাওলানা মামুনুর রশীদ, মাওলানা লিয়াকত হোসাইন, মাওলানা আমজাদ হুসাইন, মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার, মুফতি আজিজুল হক, হাফেজ শহীদুল ইসলাম, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, মাওলানা আনোয়ার মাহমুদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা রেজাউল করিম, মুফতি নূর হোসাইন নূরানী, মাওলানা ছানাউল্লাহ আমেনী, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাজী, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দীক ও মাওলানা জাহিদুজ্জামান প্রমুখ।
এলএইস/