বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃজন করা হবে। যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
তিনি বলেন, বিগত দিনে কিছু সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়েছে। নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত কোনো জাতি শক্তিশালী জাতি হিসেবে পরিচয় লাভ করতে পারে না। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে বাংলাদেশে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান ও উৎপাত বন্ধ হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশ ৯২ % মুসলমানের দেশ। সুতরাং তাদের অধিকার বাস্তবায়ন করা সাংবিধানিক অধিকার আমাদের সুযোগ হলে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃজন করে তা বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ।
জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা হলো একটা সমাজ, রাষ্ট্র ও মানবসভ্যাতার ফাইন্ডেশন। ধর্মীয় শিক্ষা হলো সে ফাউন্ডেশনের মূল শক্তি। একটা জাতি ধ্বংস করার অধিকার ড. ইউনূস আপনার নেই ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, সৈয়দ মো. রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন এখনই দিতে হবে। অন্যথায় আমরা সকল দল মিলে সম্মিলিত কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। এ ইস্যূ আমাদের প্রজন্মের অস্তিত্বের সাথে জড়িত, তাই আমরা যতটুকু কঠোর হওয়া দরকার, ততটুকুই হব ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক তার বক্তব্যে বলেন, ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য আমাদের সভা-সমাবেশ করতে হবে তা আমাদের প্রত্যাশা ছিল না। তবে আমি বর্তমান সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা এখনো বড় আন্দোলনে যাইনি, তবে প্রয়োজন যদি হয় ধর্মীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণে আমরা যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। তাই এখনো বিনয়ী ভাষায় বলছি, অবিলম্বে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন।
এলএইস/