শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী ব্যাংকের ডিমিনিশিং মুশারাকার মাধ্যমে বাড়ি ক্রয় করা বৈধ হবে কি? শেষ হলো ইফার পক্ষকালব্যাপী সিরাতুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানমালা সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেল ৭৫ জনের রপ্তানি সত্ত্বেও ভারতে পাচার হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ দেশের মানুষ আর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় না: পীর সাহেব চরমোনাই বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

চাঁদে ঘাঁটি বসিয়ে পৃথিবীতে নজর রাখবে চীন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

maxresdefaulbt copy

আওয়ার ইসলাম : চাঁদে রাডার ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে চীন। এ পরিকল্পনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এরই মধ্যে ২৪ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে তারা। চীনের ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এ অর্থের যোগান দিয়েছে। স্থায়ী এ রাডার ঘাঁটি পরিচালনায় চাঁদে স্থায়ীভাবে নভোচারী বা জনশক্তি রাখার প্রয়োজন পড়বে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে বলেছে, চাঁদের রাডারের উচ্চতা হবে ৫০ মিটার। প্রতিরক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা উভয় কাজেই এটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে। বিশাল আকারের এ রাডার দিয়ে পৃথিবীর অত্যন্ত স্পষ্ট ছবি তোলা সম্ভব হবে। এ ছাড়া, পৃথিবীর অনেক বিশাল অঞ্চল জুড়ে এ রাডারের তৎপরতা চালানো সম্ভব হবে।

রাডার ঘাঁটির রাক্ষুসে বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সৌর বা পরমাণু কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা বিবেচনা করছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

উচ্চাভিলাষী এ পরিকল্পনা বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনাও শোনা যাচ্ছে। চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সর অধ্যাপক জাও ইগুও মনে করেন, রাডারকে প্রচণ্ড শক্তিশালী হতে হবে আর না হয় রাডারের অ্যান্টেনাকে বিশাল হতে হবে; তা না হলে পৃথিবীতে বাড়ি খেয়ে সব বেতার তরঙ্গ ফিরে আসবে তা ধারণ করা যাবে না।

অবশ্য ব্যাপক ঝামেলা অতিক্রম করে এ ঘাঁটি স্থাপন সম্ভব হলে তার নানা সুফল পাওয়া যাবে। চাঁদের রাডার ঘাঁটি থেকে বিস্তারিত ভাবে পৃথিবীর আবহওয়া সংক্রান্ত নজরদারি সম্ভব হবে। ভূমিকম্প বা মেরু বরফ গলার ওপর ভালভাবে নজর রাখা সম্ভব হবে।

অবশ্য চাঁদের রাডার ঘাঁটিতে তৎপর নভোচারীদের একদিকে স্থাপনা এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র সামাল দিতে হবে। অন্যদিকে রাডার কেন্দ্র প্রতি সেকেন্ডে ১.৪ গিগাবাইট তথ্য সংগ্রহ করবে তাও প্রসেসিং করতে হবে। বর্তমানে দীর্ঘপাল্লার মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে ব্যান্ডইউথ ব্যবহার হয়ে তার চেয়েও অনেক বেশি ব্যবহার হবে এ ক্ষেত্রে। সব মিলিয়ে পুরো প্রকল্পটি প্রায় অকল্পনীয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

সূত্র : পার্স টুডেে

এফএফ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ