বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

গরু নিয়ে বিপদে ভারত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

cawআওয়ার ইসলাম: গো-হত্যা ঘিরে রাজনীতির বেড়াজালে জেরবার ভারত নিজেই।দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে গরু জবাই বন্ধের ফলে কাঁচা চামড়ার জোগানে ঘাটতি, আমদানির নির্ভরতা, মূলধনে ঘাটতি এবং সর্বোপরি হুমকীর মুখে পড়েছে কয়েক লাখ ব্যক্তির কর্মসংস্থান। ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, দেশটির ১১০০ কোটি ডলারের চামড়া শিল্প এই মুহূর্তে চরম সংকটে।

জানা যায়, কাঁচা চামড়ার ঘাটতিতে সমস্যায় পড়েছে দেশটির ট্যানারি মালিকরা। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত দুই লাখ শ্রমিদের কর্মসংস্থানও হুমকির মুখে। এমন পরিস্থিতিতে কাঁচামালের জন্য বেড়েছে আমদানি নির্ভরতা। ফলে টান পড়ছে মূলধনে। উৎপাদন ছাঁটাইয়ে বাধ্য হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। অনিবার্য ভাবে কমেছে রপ্তানিও ।

চামড়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আঙ্গুল সরাসরি ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের গো-হত্যা বন্ধের ফরমানের দিকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সংকটে রয়েছে দেশটির প্রায় দেড় হাজার ট্যানারি।

কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টসের পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান রমেশ জুনেজা জানান, পশ্চিমবঙ্গে চামড়া শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচা চামড়ার মাত্র ২০ শতাংশ স্থানীয়। বাকি ৮০ শতাংশের যোগান দেয় অন্য রাজ্যগুলো। এর মধ্যে আবার ২৫ শতাংশের জোগান দেয় মহারাষ্ট্র। কিন্তু গো-হত্যা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই জোগান কার্যত বন্ধই রয়েছে। অন্যান্য রাজ্যগুলো থেকে কাঁচা চামড়া আসা ৪০-৫০ শতাংশ কমেছে। অনেক রাজ্য থেকে চামড়া আসা একেবারে বন্ধ। এর ফলে দুইটি প্রধান সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে চামড়া ব্যবসায়ীদের।

প্রথমত, ট্যানারিতে কাঁচা চামড়া কিনে বিভিন্ন ধাপে তার প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি হয় চামড়ার চাদর। এর থেকে ব্যাগ-জুতা-বেল্টের মতো বিভিন্ন চামড়াজাত পণ্য তৈরি করে সংস্থাগুলো। অন্যান্য রাজ্য থেকে কাঁচামালের জোগানে ঘাটতি হওয়ায় বিদেশ থেকে তা আমদানিতে বাধ্য হচ্ছে ট্যানারি মালিকরা। কিন্তু সমস্যা হল, বিদেশ থেকে সরাসরি প্রক্রিয়াকৃত চামড়া কিনতে হয়। ফলে ট্যানারির কাজ কার্যত থাকছে না।

দ্বিতীয়ত, আমাদানি বৃদ্ধিতে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কলকাতা লেদার ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ খান জানান, আমদানি বেড়ে যাওয়ায় নগদ অর্থের সংকট হচ্ছে। কারণ, অন্য রাজ্য থেকে কাঁচা চামড়া কেনার অর্থ নগদে পরিশোধ করতে হতো না।কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানির ফলে নগদে অর্থ পরিশোধের পরেই সেই কাঁচামাল হাতে আসছে। ফলে বাধ্য হয়ে উৎপাদন কমিয়েছে অনেক ব্যবসায়ী।

গো-হত্যা নিয়ে রাজনীতির টানাপড়োনের মাসুল দিচ্ছে চামড়া শিল্পের সঙ্গে জড়িত অন্তত ১০ লাখ মানুষ। রাজনীতি আর সরকারি ফরমান নিয়ে বিভ্রান্তি চামড়া শিল্পকে কতটা অসুবিধায় ফেলেছে, তা স্পষ্ট চামড়া আমদানির পরিসংখ্যানে। ২০১৪-১৫ সালে ৩৫০ কোটি রুপির তৈরি চামড়া আমদানি করে ভারত। ২০১৫-১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ কোটিতে। অর্থাৎ এক বছরে আমদানি বেড়েছে ৭০ শতাংশ। ২০১৪-১৫ সালে চামড়ার জিনিসের মোট রপ্তানি ছিল ৬৪৯ কোটি ডলারের বেশি। ২০১৫-১৬ সালের আর্থিক বছরে তা নেমে এসেছে ৫৮৬ কোটি ডলারে। একছরে কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।

সূত্র: ঢাকাটাইমস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ