বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

৯/১১ হামলার মার্কিন সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন সৌদি আরব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

saudi2আওয়ার ইসলাম: ২০০১ সালের নাইন ইলেভেন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সৌদি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারবে বলে মার্কিন কংগ্রেসে যে বিলটি পাস হয়েছে, সেটিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সৌদি আরব। কংগ্রেসকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখারও আহবান জানিয়েছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনায় তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
বিলটি আইনে পরিণত হলে নিহতদের স্বজনেরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। আর তাই আশংকায় পড়েছে সৌদি আরব। ইতিমধ্যে রিপাবলিকান দলের নেতারাও অবশ্য বলতে শুরু করেছেন যে, এই আইনটিকে তারা আরো একটু পুনর্বিবেচনা করতে চান।
আর সিনেটের সংখ্যাগুরু নেতা মিচ ম্যাককোনেল বলেছেন, এই আইনের সম্ভাব্য ফলাফল ও পরিণতি কি হতে পারে তা এখনো আইন প্রণয়নকারীরা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না।
এর আগে এই বিলটির বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট-এর দেয়া সেই ভেটোকেও খারিজ করে দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
বিলটির পক্ষে ভোট না দেয়ার জন্য কংগ্রেস সদস্যদের রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু ক্ষতিপূরণ চাইতে পারা বিষয়ক এই বিলটি এখন আইনে পরিণত হতে আর বাধা নেই।
২০০১ সালের ওই ঘটনায় জড়িত ১৯জনের মধ্যে ১৫ জনই ছিল সৌদির নাগরিক। অবশ্য, এই হামলায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা দেশটি বরাবরই নাকচ করে এসেছে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ কে বরাবরই হুশিয়ারি দিয়েছেন যে এই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বয়ে আনবে।
কারণ এর ফলে রীতি অনুযায়ী অন্য দেশের সরকারী কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে যে দায়মুক্তি দেয়া হয়, সেটি আর থাকবে না। ফলে অন্য দেশে কর্মরত মার্কিন বাহিনী বা কর্মকর্তাদেরও একই ভাবে বিচারের আওতায় আনার ঝুঁকি তৈরি হবে।
অন্যদিকে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে সৌদি বাদশাহের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, বিলটি পাস হলে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ হাজার কোটি ডলারের বন্ড এবং অন্যান্য বিনিয়োগ তুলে নেবে।
আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ