বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সংকটের একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন: প্রধান উপদেষ্টা  প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ ভারতের ওয়াকফ বিল বাতিলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: আমিরে মজলিস ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের গণমিছিল আইসিইউতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আল্লামা সুলতান যওক এক টেবিলে ইসলামি দলগুলোর শীর্ষ নেতারা, ফেসবুকে উচ্ছ্বাস সমমনাদের নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের সংলাপ মনের ইচ্ছা পূরণের উপায়: ইসলামের নির্দেশনা মাত্র ১৩ মাসে হাফেজ জিহাদ, বেফাক হিফজ পরীক্ষায় সারাদেশে দ্বিতীয় হুথি বাহিনীর নতুন অভিযান, আমেরিকান বাহিনীর বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুমকি

বিজেপির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারতের কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের শাহী ইমাম এবার বিজেপির বিরুদ্ধে যেনো জিহাদ ঘোষণা করলেন। তিনি বলেছেন, কোনও মুসলিম যদি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন, তাকে পিটিয়ে এক ঘরে করে দেয়া হবে।

টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নুর-উর রহমান বরকতি বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, "কেউ যদি সাচ্চা মুসলমান হন, তাহলে তিনি কোন ভাবেই আরএসএসের সঙ্গে সম্বন্ধ রাখতে পারেন না। আজকের বিজেপি এবং আরএসএসের মধ্যেও কোন ফারাক নেই। ওই সংগঠনগুলিতে যোগ দেওয়ার অর্থ কাফের হয়ে যাওয়া।"

"যেভাবে মুসলমানদের ওপরে অত্যাচার করছে বিজেপি - কখনও গরু খাওয়া নিয়ে, কখনও মুসলমান যুবকদের সন্ত্রাসী বলে প্রচার করে, কখনও তিন তালাক ইস্যুতে - তার পরেও যদি কোনও মুসলমান সেই দলে যায়, তাহলে কী তার 'ঈমান' বলে আর কিছু থাকে? সে তো এমনিতেই সামাজিকভাবে একঘরে হয়ে পড়বে। এরকম লোককে পেটানো তো হবেই, ছাড়া হবে না তাকে," বলছিলেন মি. বরকতি।

এই শাহী ইমাম বিজেপি এবং আরএসএসের ঘোরতর বিরোধী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা ব্যানার্জীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন।

যেমন আছে, যেভাবে চলছে পশ্চিমবঙ্গের কওমি মাদরাসা

আসামে মাদরাসা বোর্ড ভেঙ্গে দিলো বিজেপি সরকার

বিজেপি-র অন্যতম জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলছেন, "উনি একজন উগ্রপন্থী মৌলবী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কাছ থেকে নানা সুবিধা আদায়ের জন্য মাঝে মাঝে এধরণের কথা উনি বলে থাকেন। তাঁকে যদি মৌলবীগিরি করতে হয়, তাহলে সেটাই তিনি করুন, আর রাজনীতি করতে হলে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা নিয়ে নেমে পড়ুন। এসব কথা বলে উনি মুসলমান সমাজেরই ক্ষতি করছেন।"

মি. বরকতির কাছে আরও জানতে চেয়েছিলাম যে বিজেপি তো একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল এবং ভারতের প্রত্যেক নাগরিকেরই তো অধিকার রয়েছে নিজের পছন্দের দল বেছে নেওয়ার।

তাঁর জবাব ছিল, "অনেক দল তো আছে - বহুজন সমাজ পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এসব করুক না মুসলমানরা। কিন্তু বিজেপি বা আরএসএস নয়।"

আসামের কাছাড় জেলার এক বি জে পি বিধায়ক আমিনুল ইসলাম লস্কর বলছিলেন, "ওই ইমাম বিজেপি এবং আরএসএস সম্বন্ধে কিছুই জানেন না বোধহয়। এই দুটো যে শুধু হিন্দুদের দল নয়, তা তো প্রমাণিত। বহু মুসলমান আরএসএস এবং বিজেপিতে আছেন। আমি যে এলাকার বিধায়ক, সেখানে ৬৮% মুসলমান - আমি তো তাদেরও ভোট পেয়েছি।"

জাতীয় স্তরেও মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি, শাহনওয়াজ হুসেইন, এম জে আকবরের মতো মুসলিম নেতারা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে রয়েছেন।

বিজেপি-র একটি সংখ্যালঘু সেলও রয়েছে, যার প্রধান আব্দুল রশিদ আনসারি।

কিছুদিন আগে শেষ হওয়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও তারা মুসলমানদের কাছ থেকে অনেক ভোট পেয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। মুসলমান ভোটাররাই নির্বাচনে নির্ণায়ক শক্তি, এমন বহু জায়গায় জয়ী হয়েছে বিজেপি, যার মধ্যে রয়েছে দেওবন্দ, যেখানে অন্যতম প্রধান ইসলামিক শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলুম প্রতিষ্ঠিত।

সূত্র : বিবিসি

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ