শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেল ৭৫ জনের রপ্তানি সত্ত্বেও ভারতে পাচার হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ দেশের মানুষ আর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় না: পীর সাহেব চরমোনাই বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব

কচি ডাবের কার্যকরিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে এবং পানিশূন্যতা প্রতিরোধেশক্তির উৎস হিসেবে কচি ডাবের পানি ভীষণ জনপ্রিয়। বলা হয়, একটি ডাবের পানিতে চারটি কলার সমান পটাশিয়াম আছে, সেই সঙ্গে আছে সহজ শর্করা বা চিনি, যা সহজে শোষিত হয়ে শক্তি দিতে পারে। ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর সোডিয়াম ক্লোরাইড ও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টি। এতে পটাশিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে।

ছাতিফাটা গরমে ডিহাইড্রেশন? শরীরের নুন-জল ঘাম হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে? গ্যাস, অম্বল, পেট খারাপে নাজেহাল দশা? প্রতিদিন ডাবের পানি মাস্ট। সুস্থ থাকবে হার্ট, কিডনি। কমবে ওজন। কমাবে বয়স। স্কিন থাকবে টানটান।

কচি ডাবের কেরামতিতে সাত থেকে সত্তর। ব্লাড প্রেশার কমায়। হার্ট টনিকের কাজ করে। হ্যাংওভার কাটায়। মাথাব্যথার মহৌষধ। ওজন কমায়। বয়স কমায়। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে কচি ডাবের জল। চাঁদিফাটা এই গরমে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে একগ্লাস কচি ডাবের পানি।

কচি ডাবের পানিতে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড, এনজাইম, B-কমপ্লেক্স ভিটামিন, ভিটামিন C, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্ক। ডাবের পানির প্রাকৃতিক মিনারেলস শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগের সম্ভাবনা কমায়। প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে কিডনির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে ডাবের জল। বিভিন্ন খাবার এবং অন্যান্য মাধ্যমে প্রতিদিন শরীরে যে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস পেটে ঢোকে, সেগুলো মারতে একগ্লাস ডাবের পানিই যথেষ্ট।

বমি হলে রক্তে পটাসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। ডাবের পানি সেই ঘাটতি পূরণ করে। তাই অতিরিক্ত গরমে ডিহাইড্রেশন, ডায়েরিয়া, বমির জন্য ডাবের পানি খুব উপকারি। এতে পানির পরিমাণ থাকে ৯৪ শতাংশ। তাই ত্বকের সৌন্দর্যরক্ষায়, পুরো দেহের শিরা-উপশিরায় সঠিকভাবে রক্ত চলতে সাহায্য করে। দেহে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়ে। প্রতিটি অঙ্গে বিশুদ্ধ রক্ত পৌছয়। ফলে পুরো দেহ হয়ে ওঠে সতেজ ও শক্তিশালী। ডাবের পানি চুলের পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এতে কোনও চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। প্রচুর খনিজ উপাদান থাকায় বাড়ন্ত শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার জন্য ডাবের জল উপকারি।

তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডাবের পানি খাওয়ার কিছু বিধিনিষেধ আছে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখেই ডাবের পানি খাওয়া উচিত। কিডনিতে পাথর রয়েছে বা ডায়ালিসিস চলছে, এমন রোগীদের ডাবের পানি খাওয়া নিষেধ। কারণ, উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

-এজেড


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ