বুধবার, ০৭ মে ২০২৫ ।। ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৯ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান তারেক রহমানের ভারতকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করতে হবে: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ হজযাত্রীদের সবধরনের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ সৌদি যুবরাজের নারী কমিশন ইসলামিক চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে পুনর্গঠন করতে হবে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসছে ইসলামী আন্দোলন আইসক্রিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো? অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাবে ইসলামী আন্দোলনের ঐকমত্য, কয়েকটিতে দ্বিমত কোনো সন্ত্রাসী যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে: আইজিপি পল্টনে কুরআন শিক্ষা বোর্ডের কার্যকরী সদর দফতর উদ্বোধন পরিবারের ১০ সদস্য হারিয়ে বললেন- ‘আমিও যদি সুখী কাফেলায় শরিক হতাম!’

লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলছে না সহজেই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অাওয়ার ইসলাম: রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুলের দুটি শাখা খুলে দিতে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা আগামী রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন। পাশাপাশি বিষয়টি রোববার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আখতার ইমাম ও এ এফ হাসান আরিফ।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুলের ধানমন্ডি ও গুলশান শাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ধর্মীয় উগ্রবাদে অনুপ্রেরণা, জঙ্গিবাদে মদদের অভিযোগ এলে সরকারের কার্যক্রমে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে বলা হয়। গতকাল বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় দেওয়া হয়।

জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদে উৎসাহ দেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে ৫ নভেম্বর ঢাকার লেকহেড গ্রামার স্কুল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে প্রতিষ্ঠানের ভবন সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্কুল মালিক ও দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক পৃথক রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৯ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে লেকহেড গ্রামার স্কুলের গুলশান ও ধানমন্ডি শাখা বন্ধের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

একই সঙ্গে স্কুল মালিককে স্কুল খোলা ও পরিচালনা করতে দিতে বিবাদীদের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়া শিক্ষার্থীদের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

 

এইচ জে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ