শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা তালেবান সরকারের নিষিদ্ধের তালিকায় মওদুদীর বই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা পর্তুগালের যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ দালাল ধরে গিয়েছিলেন ইরাকে, ময়লার ভাগাড়ে তিন টুকরায় মিলল লাশ দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প নোয়াখালীতে অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর ,আহত-৪ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন এডভোকেট এর ইন্তেকাল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলঞ্জ ইউনিয়ন শাখা কমিটি গঠন সম্পন্ন

মসজিদুল হারামের মাকতাবায় প্রথম প্রহর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী; সাভার প্রতিনিধি
সৌদি থেকে

দেশ থেকে এসে প্রথম যেদিন উমরার জন্য ঢুকলাম বাদশা ফাহাদ গেটের ডানপাশে লেখা দোখলাম ‘মাকতাবাতুল হারাম’। দলবদ্ধ থাকার কারণে সেদিন মাকতাবায় ঢুকতে পারি নি।

দলবদ্ধ থাকার এই এক অসুবিধা। নিজের মন মতো কিছুই করা যায় না। সবকিছু করতে হয় আমীরের কথা মতো। অন্যথায় দশজনের কথা শুনতে হয়।

ভেবেছিলাম, উমরা করে এসে ঢুকবো। কিন্তু উমরার পর শরীর এতোটাই ক্লান্ত ছিল যে, হেঁটে হোটেলে যাওয়াই দায় হয়ে পড়েছিল।

সৌদিতে চলাচলের দুই ব্যবস্থা। ১ হেঁটে ২ বাসে করে। অন্য কোনো অপশন নেই। বাংলাদেশ বা ভারতের মতো রিকশা, অটোর ব্যবহার এদেশে এখনো শুরু হয় নি। বাধ্য হয়ে হেঁটে হেঁটে হোটেলে গিয়ে উঠলাম।

কিন্তু মন পড়ে রইল সেই লেখাটির উপর। মাকতাবাতুল হারাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের জামাতে শরীক হলাম। বিভিন্ন আমল শেষে বাদশা ফাহাদ গেটের কাছে গিয়ে একজনকে আরবিতে জিজ্ঞেস করলাম, মাকতাবায় যাওয়ার পথ কোনটি?

সে আমার কথার মাথামুন্ডু কিছুই বুঝলো না। আবার জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি সৌদি নাগরিক? বললো, হ্যাঁ, অবশ্যই। বুঝলাম তাকে বইয়ের ভাষা বললে কিছুই বুঝবে না।

শুধু এটুকু বললাম, মাকতাবা। সে ইশারায় দেখিয়ে দিলেন দোতলায়। আর হাসলো। আমি তার হাসির কোনো মানে খুঁজে পেলাম না। হাসার দরকার ছিল আমার। সৌদিয়ান অথচ বিশুদ্ধ আরবি জানে না। আবার গর্বের সাথে বলে জি, অবশ্যই।

সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম। সম্ভবত চার তলায় মাকতাবা। হেরেম শরিফের ১ম তলা ২য় তলা ঠাহর করা কঠিন ব্যাপার। সবই মনে হয় নিচতলা আবার সবই মনে হয় দ্বিতীয় তলা।

মাকতাবায় ঢুকলাম। বিশাল লাইব্রেরি। কামাজকম একলক্ষ কিতাবের সমারোহ। সবই সৌদি ছাপা। হিন্দুস্তানি ছাপায় অস্পষ্টতায় ভরপুর। সৌদি ছাপায় কোনো অস্পষ্টতা নেই।

এপর্যন্ত যত আরবি কিতাব পড়েছি সবই দেখলাম আছে। কোনোটাই বাদ পড়ে নি।

কিন্তু দেখলাম একশো ভাগের একভাগ কিতাবও পড়া হয় নি। তাতে আমার জ্ঞানের পরিধি বুঝলাম। নফসকে বললাম, নিজেকে তো অনেক বড় পড়ুয়া মনে করো অথচ একটা লাইব্রেরির কিতাবও তুমি শেষ করতে পার নি।

সবচেয়ে আকর্ষণ করেছে শরহুল বিকায়া কিতাবের নুসখাটি। এতো সুন্দর ছাপা!

হিন্দুস্তানি নুসখায় নামাজের ওয়াক্তের বর্ণনা বুঝে আসে নি। কিন্তু এই নুসখায় অনেকটা পানির মতো পরিস্কার হয়ে গেল। আশাকরি এখন ঘড়ি ছাড়াও নামাজের ওয়াক্ত বলে দিতে পারবো। কোন সমস্যা হবে না।

আরেকটি কিতাবের শরাহ দেখলাম। নাম ঠিক মনে করতে পারছি না। মাকামাতে হারিরির শরাহ। সানাবিয়া উলয়ায় মাকামাতের যে শরাহটি পড়েছিলাম সেটি ছিলো মাওলানা আহমদ মাইমূন সাহেবের।

বাংলা ভাষায় হলেও প্রথম প্রথম বুঝতে বারোটা বাজতো। কিন্তু মাকামাতের এই আররি শরাহটি এতোটাই সুন্দর ও সহজ, যে কেউ বুঝবে আশা করি।

প্রায় দুঘন্টা শুধু এই শরাহটিই মুতায়ালা করেছি। আরবি শরাহ সহজপাঠ্য এটা জানতাম এবং সবসময় আরবি শরাহই মুতায়ালা করতাম। কিন্তু আরবি শরাহ এতোটা সহজ ও আসান সেটা জানতাম না।

ইচ্ছে করছিল, শরাহটি কিনে ফেলি। কিন্তু আশেপাশে কোনো লাইব্রেরিতে শরাহটি পেলাম না।

ইসলামি কিতাব, বয়ান ও মালফূযাতের অন্যন্য অ্যাপ

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ