সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
স্পেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত ভারতকে ১৯৬৫ সালের মতো জবাব দেবে পাকিস্তান: মাওলানা ফজলুর রহমান ‘৩ মে’র মহাসমাবেশ হবে তৌহিদি জনতার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ ৩ মের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজত আমিরের আহ্বান হজ অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ইসলামবিরোধী কবিতা লিখে নির্বাসিত, ৫০ বছরেও ফিরতে পারেননি দেশে তিন পুরুষের জমিয়ত উত্তরসূরী মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আজ হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা হেফাজতের খুলনা মহানগরী সভাপতি মাওলানা সাখাওয়াত, সম্পাদক গোলামুর রহমান যুদ্ধের মাঝে যৌথ অস্ত্র উৎপাদন: ভারত-ইসরায়েল সামরিক সম্পর্কের বিবর্তন

নামাজ নিষিদ্ধে উগ্র হিন্দুদের সাহস দিচ্ছে মন্ত্রী-প্রশাসন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ওমর ফাইয়ায: ভারতের গারগাওয়ে নামাজ আদায় নিয়ে বিবাদ থামছেই না। জুমার নামাজ নিয়ে এতো দিন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো নানান বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করে আসছিলো। কয়েক দিন আগে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও তাদের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দেয়ার পর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো আরও বেশি শক্তি পেয়ে গেছে।

সর্বশেষ মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে সংঘাত বেঁধে যেতে পারে এই আশংকার যুক্তি দেখিয়ে পুলিশ ও প্রশাসন ৯ টি জায়গার বাইরে প্রকাশ্যে জুমা আদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

নেহেরু ইউদা সংগঠনের প্রধান শাহজাদ খান বলেন, পুলিশ নামাজের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে নয়টি স্থানকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। অথচ গত জুমায়ও গারগাওয়ে ১১৫টি স্থানে মুসলমানরা জুমা আদায় করেছেন।

শাহযাদ বলেছেন, তার সাথে পুলিশের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি নামাজের জায়গা বাড়ানোর দাবি জানাবেন। এমজি রোডের কয়েকটি এলাকার মুসলমানরা জুমার নামাজ আদায় করার জায়গা পাচ্ছেন না।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই অঞ্চলে নামাজ আদায়ে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করা হচ্ছিলো। কিন্তু ব্যাপারটি বেশি জটিল হয়ে গেছে যখন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লালও এই দ্বন্দ্বে ঢুকে পড়লেন।

‘নিছক নামাজ-রোজা নয় আল্লাহর পুরো বিধান আদায়ের নাম ইবাদত’

সম্প্রতি তিনি বলেছেন, মসজিদ, ঈদগাহ এবং এরকম নির্দিষ্ট জায়গায়ই নামাজ আদায় হওয়া উচিত। তার এই বক্তব্যের পর আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অফিসাররাও তার সুরে কথা বলছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হরিয়ানা ওয়াকফ বোর্ডের ইন্তেজামিয়া কমিটি এমন ১৯টি ওয়াকফ সম্পত্তির [মসজিদ] বিবরণ দিয়েছে যেগুলো হয় দখলের শিকার হয়ে আছে অথবা হিন্দুরা সেখানে নামাজ আদায় করতে দিচ্ছে না।

বোর্ড বলেছে, আমাদের জামি তারা অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছে। তাই মানুষ বাধ্য হয়ে অন্য জায়গায় নামাজ পড়ছে। প্রশাসনের উচিত এসব অন্যায় দখলদারি উচ্ছেদ করা। এর আগ পর্যন্ত মানুষ যেখানে নামাজ পড়তে চায় পড়তে দেয়া উচিত।

রোজনামা খবরেঁ থেকে ওমর ফাইয়ায এর অনুবাদ

-আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ