রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই

ঐতিহ্যের রাজ সাক্ষী শাহ সুজা মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল, চান্দিনা থেকে : কুমিল্লার শাহসুজা মসজিদ। মোগলটুলীতে দাঁড়িয়ে আছে চারশ বছরের সাক্ষী হয়ে।

বাদশাহ আওরঙ্গজেবের ভাই শাহ সুজার নামানুসারে এর নামকরণ। ১৬৫৮খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি নির্মিত হয়। কুমিল্লা শহরের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ এটি।

প্রাচীন এ মসজিদটি দেখতে মোগলটুলী এলাকায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসেন। বিশেষ করে জুমা, শবে বরাত, শবে কদরসহ বিশেষ দিনগুলোতে এখানে মুসল্লি ও দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায়।

জানা যায়, মসজিদের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ কৈলাসচন্দ্র সিংহ তার রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। এ মসজিদ সম্পর্কে দুই ধরনের প্রবাদ শোনা যায়। প্রথমত, সুজা ত্রিপুরা জয় করে বিজয় চিরস্মরণীয় করার জন্য এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।

দ্বিতীয়ত, মহারাজ গোবিন্দ মানিক্য সুজার নাম চিরস্মরণীয় করার জন্য নিমচা তরবারি ও হিরকাঙ্গুরীয়ের বিনিময়ে বহু অর্থ ব্যয় করে এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।

মসজিদটি বাইরের আয়তাকার মাপে দৈর্ঘ্য ১৭.৬৮ মিটার, প্রস্থ ৮.৫৩ মিটার। প্রাচীরগুলো ১.৭৫ মিটার পুরু। মসজিদের চার কোণে ৪টি বুরুজ রয়েছে। এগুলো কার্নিসের বেশ উপরে উঠে গেছে এবং এর শীর্ষে রয়েছে ছোট গম্বুজ।

মসজিদের পূর্ব প্রাচীরে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ প্রাচীরে একটি করে খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। প্রধান প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত বড়। প্রবেশ পথগুলোর উভয় পাশে ও উপরে প্যানেল নকশা অলঙ্কৃত।

কিবলা প্রাচীরে রয়েছে তিনটি মিহরাব, কেন্দ্রীয়টি অপেক্ষাকৃত বড় ও অধিক আকর্ষণীয়। এটি ফুল, লতাপাতা ও জ্যামিতিক নকশায় শোভিত। দুইটি পার্শ্ব খিলান দ্বারা মসজিদের অভ্যন্তর তিন ভাগে বিভক্ত।

অষ্টকোণাকার ড্রামের উপর নির্মিত তিনটি গোলাকার গম্বুজ দ্বারা মসজিদের ছাদ ঢাকা। মধ্যেরটি অপেক্ষাকৃত বড়। গম্বুজগুলোর শীর্ষদেশ পদ্মনকশা ও কলস চূড়া দ্বারা শোভিত। মসজিদের কার্নিসের নিচের অংশ মারলোন নকশায় অলঙ্কৃত। বিভিন্ন সময়ে মসজিদটির সংস্কার ও স¤প্রসারণ করা হয়েছে।

একটি শিলালিপির পাঠ অনুযায়ী ১৮৮২ সালে হাজী ইমামউদ্দিন ৭.৩২ মিটার প্রস্থের সমতল ছাদবিশিষ্ট বারান্দাটি নির্মাণ করেন। মসজিদের নামকরণ, প্রতিষ্ঠাতার নাম ও প্রতিষ্ঠার তারিখ নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও এ মসজিদ যে পাক ভারত উপমহাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম সে বিষয়ে কারো সন্দেহ নেই।

শাহ সুজা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সফিকুল ইসলাম সিকদার জানান, এটি একটি প্রাচীন মসজিদ। শুধু কুমিল্লায় নয়, সারা দেশের মধ্যে অন্যতম একটি মসজিদ। এখন ১২শ’ মুসল্লি একসাথে নামাজ পড়তে পারেন। আরো বেশি মুসল্লি নামাজ পড়ার বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে।

ইসলামিক চ্যানেল আইটিভি নিয়ে মূল্যায়নধর্মী প্রতিবেদন ভয়েস অব আমেরিকায়


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ