রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে

হজের সময় নবীজী সা. যোহর ও আসর নামাজ কেন কসর করেছিলেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ
অাওয়ার ইসলাম

বিদায় হজের সময় রাসূলুল্লাহ সা. সাহাবায়ে কেরামদেরকে নিয়ে জোহর আসর একসাথে আদায় করেছিলেন। বিদায় হজ সম্পর্কে যাবের রা. এর হাদিসে এসেছে, ‘নবী রা. উপত্যকার মধ্যখানে এলেন। তিনি লোকজনকে লক্ষ্য করে খোতবা দিলেন।

অতঃপর আজান দেয়া হল, একামত হল, এবং তিনি যোহরের সালাত আদায় করলেন। এরপর একামত হল এবং তিনি আসরের সালাত আদায় করলেন। এ দু’য়ের মাঝখানে অন্য কোনো সালাত আদায় করলেন না।”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কসর করেছিলেন। হজের ব্যতিক্রম আমল নয়, বরং মুসাফির হিসেবেই তিনি কসর করেছিলেন।

কারণ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার পূর্বে যাত্রা শুরু করতেন তাহলে যোহরের নামাজকে বিলম্বে আসরের নামাজের সাথে আদায় করতেন। আর যদি সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলার পর যাত্রা শুরু করতেন তাহলে যোহর ও আসর একসাথে পড়েই যাত্রা শুরু করতেন।

আনাস ইবনু মালিক রা. সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মাদীনাহ হতে মাক্কাতে রওয়ানা হলাম। আমরা মাদীনাতে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত তিনি দু’ রাক‘আত করে সলাত আদায় করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা কি সেখানে কিছু কাল অবস্থান করেছেন? তিনি বললেন, আমরা দশদিন অবস্থান করেছিলাম। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৩৩]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতহে মক্কার সময় চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাযগুলো দুই রাকাত পড়তেন এবং নামায শেষে শহরবাসীদের উদ্দেশে বলতেন, হে শহরবাসী, তোমরা চার রাকাত পূর্ণ কর, আমরা মুসাফির। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২২৯}

আরও পড়ুন :রাসুল সা. যেভাবে চুলের পরিচর্যা করতেন


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ