শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

‘মুমিনের উচিত রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মাছউদুর রহমান

বছর ঘুরে আমাদের মাঝে এসেছে রমজান। রমজানুল মুবারকের নাম আমাদের মন-মানসে এক নতুন অনুভূতি জাগ্রত করে। সিগ্ধতা ও পবিত্রতার অনুভূতি। এ মাসটি একটি মহিমান্বিত মাস, যার ফজিলত ও মর্যাদা কুরআন মাজিদে উল্লেখিত হয়েছে।

এ মাস মুমিনের নব চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার মাস। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অন্বেষণে অগ্রণী হওয়ার মাস। স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মাসে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হতেন।

তার সাহাবিগণকেও ইবাদত-বন্দেগিতে অগ্রসর হতে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাই মুমিনের কাছে এই মাস আলাদা মহিমা ও তাৎপর্য নিয়ে আগমন করে।

মুমিনের কর্তব্য, ইবাদত-বন্দেগিতে অগ্রসর হওয়ার পাশাপাশি চাল-চলন, আচার-আচরণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি সবক্ষেত্রে একটি আদর্শিক ছাপ রাখার চেষ্টা করা।

প্রতি রমজানেই নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এটি আমাদের জন্য লজ্জার। যদিও অনেক বিত্তশালী মুসলিম এ মাসে প্রচুর দান করে থাকেন, অনেকে জাকাত দিয়ে থাকেন, দুস্থ-অসহায়ের খোঁজ-খবর নিয়ে থাকেন, রোজাদারদের ইফতার করিয়ে থাকেন, কিন্তু এসব নেক আমল ও জনকল্যাণমূলক কাজ চাপা পড়ে যায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কাছে।

একারণে মুসলিম ব্যবসায়ীদের কর্তব্য, কিছুটা ক্ষতি স্বীকার করে হলেও রামজানুল মুবারকে দ্রব্যমূল স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করা।

এতে যেমন মুসলমানদের ভাবমর্যাদা উজ্জল হবে, তেমনি মানবসেবারও সওয়াব পাওয়া যাবে। এমনিতেই তো বছরের কোন কোন সময় ‘বিশেষ সেল’, ‘দামাকা অফার’ বা মূল্যহ্রাস ঘোষণা করে বিক্রয় জোরদার করার ব্যবসায়ীক কৌশল অনেক আগে থেকেই সমাজে বিদ্ধমান।

অধিকন্তু, বিশ্বের অনেক দেশে বিশেষতঃ বাংলাদেশসহ পাশ্চাত্যে নববর্ষ এবং খ্রিস্টানদের বড় দিন উৎযাপনে ব্যবসায়ীগণ এরকম সৌজন্য দেখিয়ে থাকেন। মুসলিম দেশগুলো মধ্যে সৌদিআরব, কুয়েত, দুবাই, বাহরাইন, কাতারসহ বেশ কয়েকটি দেশ রমযান উপলক্ষ্যে ৫০০ শতাধিক পণ্যে মূল্যহ্রাস করে বিক্রি করে।

ইতিমধ্যে কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় নিত্য প্রয়োজনীয় ৫০০টি পণ্যের মূল্য কমিয়েছে। এসব পণ্যের দাম রামযানের শেষ পর্যন্ত কম থাকবে।’ আমাদের দেশের মুসলিম ব্যবসায়ীগণ এরকম সুযোগ সৃষ্টি করে রোযাদারদের সহযোগিতা করতে পারেন।

একজন মুসলমান রমজানে অপর মুসলিম ভাই বোনদের নিকট হ্রাসকৃত মূল্যে বা স্বল্পলাভে পণ্য বিক্রয় করতে পারেন।

বিক্রেতা সওয়াবের নিয়তে অপর রোজাদারকে এরূপ ইহসান করলে স্বীয় ব্যবসাতে ঐশী রহমত ও বরকত লাভ করতে পারেন। তাই রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল রাখা মুমিনের দায়িত্ব। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম ব্যবসায়ী এরূপ ত্যাগ স্বীকারের দ্বারা পণ্যের বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে ভূমিকা পালন করে অশেষ সওয়াবের অধিকারী হতে পারেন এবং সমাজও সামগ্রিকভাবে কল্যাণমূখী পথে অগ্রসর হতে পারে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ