ইয়াহইয়া বিন আবু বকর
ফিলিস্তিনের মুসলিম অধ্যুসিত গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার অবরোধের ফলে শুধুমাত্র ২০২০ সালেই দেড়হাজার মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে৷ ১৪ বছর যাবত লাগাতার অবরোধের ফলে ফিলিস্তিনবাসী চরম সংকট ও দুর্দিনের মধ্যে দিয়ে কালাতিপাত করছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের একটি জাতীয় কমিশন ।
গত বৃহস্পতিবার এক জরিপে তারা জানায়, সবকিছুর বিবেচনায় ২০২০ সাল সবচে বিপজ্জনক হয়ে দাড়িয়েছে৷ একদিকে অবরোধ ও বিমান হামলা, অন্যদিকে করোনার প্রকোপ। যার কারণে গাজায় প্রায় ৭০% পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে৷ এছাড়াও ৮৫% এরও বেশি দারিদ্রতার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছে এবং বেকারত্বের হার বেড়েছে 60 শতাংশ। বর্তমানে সেখানে ৩৫০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক বেকার ৷
কমিশনটি আরো জানায়, অবরোধের শুরু থেকেই ৮০% কারখানা বন্ধ রয়েছে৷ অন্যদিকে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও কারখানার যাবতীয় উপকরণের আমদানি-রফতানি সীমাবদ্ধ করে দেয়ার কারণে কারখানাগুলির উত্পাদন হার হ্রাস পেয়ে ২০% এ নেমে এসেছে৷ অন্যদিকে শ্রমিক ও দোকান এবং কর্মশালার মালিকদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ব্যপক অবনতি ঘটেছে।
কমিশনটি গাজাকে বাঁচাতে এবং তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য ‘নৈতিক, মানবিক ও আইনী’ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি জরুরি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, বিশ্ববাসী করোনা মহামারীর কারণে অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়া যে কোনো দেশকে সর্বপ্রকার সহায়তা করছে, অথচ গাজায় কী ঘটছে এবং সেখানকার অধিবাসরা কিভাবে চরম দুরাবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে তার প্রতি চোখ বন্ধ করে আছে৷ অথচ অবরোধ এবং ইজরাঈল বাহিনীর হামলা যদি এভাবে ২০২১ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে; তাহলে ফিলিস্তিনবাসীর অবস্থা কতটা ভয়াবহ হবে তা বিশ্ববাসীর ভেবে দেখা উচিত৷
সংগঠনটি গাজা থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার জোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি বর্তমানের চলমান গুরুতর সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার মূল মাধ্যম৷ -সূত্র আল-কুদস
-কাউসার লাবীব