মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ ।। ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৮ জিলকদ ১৪৪৬


মুসলিম দেশ বসনিয়ায় ৩.৫ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিচ্ছে ইউরোপীয় কমিশন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইউরোপীয় কমিশন অভিবাসীদেরকে সাহায্য করার জন্য বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাকে ৩.৫ মিলিয়ন ইউরোর জরুরি মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। অভিবাসী শিবিরে আগুন লাগার পর সেখানে অভিবাসীরা মানবতার জীবনযাপন করেছে বলে জানা যায়।

গতকাল রোববার ইয়োরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা এ সহায়তার কথা ঘোষণা করেছে।

ব্রাসেলস বলেছে যে এই তহবিল গরম পোশাক, কম্বল, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য ও মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে অভিবাসীদের ও শরণার্থীদের 'মানবিক বিপর্যয়' থেকে থেকে রক্ষা করবে ।

গত ২৩ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব উনা সানা ক্যান্টনের লিপা শিবিরটি আগুন লেগে বন্ধ হয়ে যায় । অস্থায়ী মহামারী হিসেবে এ শিবিরটি কয়েক মাস আগে খোলা হয়েছিল। তবে প্রচণ্ড শীতের জন্য শিবিরটি বসবাসের উপযুক্ত ছিল না। কারণ এতে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, পয়ঃনিস্কাশন সুবিধা ছিল না।

শিবিরের ১,৪০০ সাবেক বাসিন্দার মধ্যে ৯০০ জনকে অন্যান্য স্থানে থাকা কেন্দ্রে পুনর্বাসন করা হয়েছিল । তবে গতো ৩০ ডিসেম্বর এই কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে ওই সকল অভিবাসীকে পোড়া শিবিরে ফিরে আসতে বলা হয়। এছাড়াও শিশুসহ প্রায় এক হাজার মানুষ শিবিরের কাছে স্কোয়ার ও বনে বাস করে। ইইউর উচ্চ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল রোববার এক বিবৃতিতে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার পরিস্থিতিকে "অগ্রহণযোগ্য" বলে বর্ণনা করেছেন।

শীতকালীন সুরক্ষা ব্যবস্থা মানবজীবনের জন্য পূর্ব-প্রয়োজনীয়তা, যা সর্বদা নিশ্চিত করা দরকার। লিপা শিবিরকে স্থায়ী সুবিধার্থে পুনর্নির্মাণ না করা পর্যন্ত স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিদ্যমান সুবিধা নিশ্চিত করে একটি অস্থায়ী সমাধান প্রদান করা দরকার।

তবে, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানগুলো জরুরিভাবে করা প্রয়োজন। তিনি বলেন ,আমরা কর্তৃপক্ষকে বিশ্বব্যাপী মহামারীর মধ্যে স্যানিটারি সুবিধাগুলো না পেয়ে শীতকালে মানুষকে বাইরে না দিতে অনুরোধ করছি ।

তহবিল কমিশন ইতিমধ্যে এপ্রিল মাসের জন্য বরাদ্দ করা ৪.৫ মিলিয়ন ইউরো যুক্ত করবে। এর ফলে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় অভিবাসী ও শরণার্থীদের জন্য ব্রাসেলসের মানবিক সহায়তা ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৩.৮ মিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছাবে ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইইউতে প্রবেশের প্রত্যাশায় বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় অস্থায়ী অভ্যর্থনা কেন্দ্রে বর্তমানে পাঁচ হাজার চার শ'র বেশি শরণার্থী ও অভিবাসীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থীর মধ্যে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশীও আছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ