মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ ।। ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৮ জিলকদ ১৪৪৬


চাঁদপুরে মাদরাসা শিক্ষক লাঞ্ছনা, অভিযুক্তদের বিচার করতে হবে: আমিরে হেফাজত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মাদ ইশতিয়াক সিদ্দিকী
হাটহাজারী প্রতিনিধি

সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার তালিমুল কোরআন ওয়াল হিকমাহ (রহিমানগর) কওমি মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুককে মারধর ও মাদরাসা ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

আজ ৫ জানুয়ারি সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, মিথ্যা অভিযোগ তুলে মাদরাসা ভাংচুর করে শিক্ষককে মারধরের ঘটনা চরম উদ্বেগজনক। এসব মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে কওমি মাদরাসাকে কলুষিত করাই রাম-বামদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য। এ ঘটনা কওমি মাদরাসা ও হক্কানী ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে চলমান গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।অনতিবিলম্বে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সেই মাদরাসার শিক্ষককে স্বসম্মানে মুক্তি দিতে হবে।

আমিরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ঐ মাদরাসার ছাত্র যে সময় উল্লেখ করে তার শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল মাদরাসার মোহতামীম, এলাকাবাসী ও ঢাকা থেকে যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দলের অনুসন্ধান এবং মাদরাসায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সেই ছাত্রের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভূয়া প্রমাণিত হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে একজন হাফেজে কুরআনকে বেধরক মারধর করা, মাথা ন্যাড়া করে পুলিশে সোপর্দ করার ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হাফেজে কুরআন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

আমিরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরও বলেন, মিথ্যা অভিযোগ তুলে মাদরাসা ভাংচুরের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সম্মানহানির জন্য ঐ শিক্ষক ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নিকট দোষীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

কওমি মাদরাসা আদর্শ ও সুনাগরিক তৈরীর কারখানা। দীন ইসলাম রক্ষার দূর্গ। কওমি মাদরাসার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। কওমি মাদরাসা ও হক্কানী ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে এ দেশের তৌহিদি জনতা কড়া জবাব দিতে বাধ্য হবে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ