আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, মহামারি করোনায় সারাদেশে দুস্থ-গরিব, অসহায় মানুষ বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত লকডাউনের কারণে মেহনতি মানুষ অসহায় জীবন যাপন করছে। দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জীবনে ভয়াবহ অনিশ্চয়তা নেমে আসে।
আজ রোববার বিকেলে করোনা ও চলমান পরিস্থতি নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মজলিসে আমেলার এক জরুরী ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারা আরো বলেন, এমতাস্থায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকে ছিল, আছে এবং থাকবে। বিগত বছরে লকডাউনে সারাদেশের অসহায় মানুষের পাশে ছিল ইসলামী আন্দোলন। এমনকি করোনায় মৃত মানুষের লাশ দাফনে সারাদেশে স্বেচ্ছাসেবক টিম জেলা, থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনায় মৃতদের লাশ দাফন ব্যাপক ভুমিকা পালন করে আসছে। সেইসাথে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তোলে দেয়ার কর্মসূচি নিয়েও মাঠে ছিল ইসলামী আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, যুব আন্দোলন এবং ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন।
এ ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. বরকত উল্লাহ লতিফ, গাজী রুহুল আমীন, মাওলানা খলিলুর রহমান মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।
ভার্চুয়াল বৈঠকে সারাদেশে অসহায় মানুষের পাশে থাকার এবং সার্বিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার জন্য জেলা শাখাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে ১৩ মাসের অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে পৌনে আট লাখের মতো মানুষ। ৩ দফার লকডাউনে দেশ স্থবির থেকে জীবিকা হারিয়েছে কোটি মানুষ। অথচ সরকার করোনার টিকার জন্য যথাযথ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ১০ হাজার মানুষের মৃত্যুর পরে এখন তারা চীন-রাশিয়া থেকে টিকা সংগ্রহ করার জন্য নতুনভাবে তোড়জোর শুরু করেছে। মানুষের জীবনকে এ সরকার কত তুচ্ছ বিবেচনা করে, তার নির্মম একটি উদাহরণ এটি।
-এটি