আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী বলেছেন, দেশে গুম, খুন বেড়েই চলছে। মানুষের মৌলিক অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা নেই। অনেক আলেম ওলামাদের হয়রানি করা হচ্ছে অন্যায় ভাবে। যে সব অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা আদালতে প্রমাণের আগেই তাদের অপরাধী বলে অভিহিত করছে সরকার দলীয় লোকজন। যা অত্যন্ত অন্যায় এবং অবমাননাকর। তিনি বলেন, নিরাপরাধ কোন নাগরিক এবং আলেম যেন হয়রানীর শিকার করা থেকে সরকারকে বিরত থাকতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মজলিসে আমেলার জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের মহাসচিব মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম।
সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ লতিফ, জি এম রুহুল আমীন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, এ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম, মুফ্তী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মুুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম প্রমুখ।
আল্লামা ফয়েজী বলেন, যারা রাষ্ট্রের অর্থ লুটপাটের সাথে জড়িত তাদের কিছুই করতে পারছেনা দুদক। ছাত্রলীগের মাদারীপুর জেলা সভাপতি পাঁচার করেছে ২০০ কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশন সেই টাকার তদন্ত করতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের লকাবের স্বর্ণ গায়েব হয়ে যায়, তার তদন্ত না করে দুদকের আলেমদের সম্পদের তদন্তের উদ্যোগ উদ্দেশ্যমুলক। তিনি বলেন, আলেমদের হয়রানি করা এবং তাদেরকে জনসমক্ষে হেয় প্রমাণ করার জন্য তাদের পেছনে দুদক লাগানো হয়েছে। যা সরকারের জন্য কল্যাণকর হবে না।
-এটি