আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চট্টগ্রামের চন্দনাইশে শোক সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলি করা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন সুজনকে ঢাকা থেকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে দুই গ্রুপের সংর্ষের পর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।
জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর প্রকাশ্যে পিস্তল উচিয়ে গুলি করছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য গিয়াসউদ্দিন সুজন। ৩০শ আগস্ট জাতীয় শোকদিবসের আলোচনা সভার আয়োজন কর চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। সভার শেষ পর্যায়ে হঠাৎ শুরু হয় ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ।এ সময় আহত হয় ৪ জন।
ঘটনার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। চট্টগ্রাম চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান,কি কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা কমিটি গঠন করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দীন বাদি হয়ে মামলা করেন। পরদিন পাল্টা মামলা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল ফয়সাল। আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন,দলের নাম বিত্রি করে বিভিন্ন অপকর্ম করছে, সে যেই হোক, মন্ত্রী হোক, এমপি হোক বা যতবড় নেতা হোক তাদের এই অপরাধ করার অধিকার নেই। খুব শিগগিরই একটা সাংগঠনিক কর্মসূচী আপনারা দেখতে পাবেন।
ঘটনার সাথে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না জানান পুলিশ সুপার। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রশিদুল হক বলেন,ঘটনা তদন্তাধীন। যারা যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনার পর চন্দনাইশের আওয়ামী রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
-এটি