আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে। গত কয়েকদিনে দুই শিক্ষকসহ সাতজন খুন হয়েছেন দুর্বৃত্তদের হাতে।
শ্রীনগরের একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল ছিলেন সুপুন্দর কাউর। ওই একই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন দীপক চন্দ।
বৃহস্পতিবার তারা দুইজনেই স্কুলে ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পিস্তল নিয়ে স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়ে কয়েকজন। খুব কাছ থেকে প্রিন্সিপাল এবং এক শিক্ষককে গুলি করা হয়। দুই শিক্ষকের হত্যার ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে শ্রীনগরে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অনলাইন ক্লাস চলছে বলে ওইদিন ক্লাসে ছাত্ররা ছিল না। নইলে আরো বড় অঘটন ঘটতে পারত।
এর আগে এক ওষুধের দোকানের মালিককে খুন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তিনজন সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে গত পাঁচ দিনে সাতজন সাধারণ মানুষকে খুন হলেন। যাদের সাথে সরকার বা প্রশাসনের কোনো সম্পর্ক নেই। সম্পূর্ণ নিরস্ত্র অবস্থায় তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছে হত্যার জন্য।
কাশ্মির পুলিশের দাবি, দ্য রেসিসট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই ঘটনার সাথে জড়িত। তবে কোনো গোষ্ঠী এখনো পর্যন্ত দায় স্বীকার করেনি।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরে সব মহল থেকেই নিন্দা করা হয়েছে। কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, ‘এই হলো ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রশাসন।’
বস্তুত, কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বানানোর পরে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছিল, এবার সরাসরি কেন্দ্র কাশ্মিরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে। পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন, কাশ্মির নব্বই দশকের ভয়াবহতায় ফিরে যাচ্ছে। এর দায় কেন্দ্রকে নিতে হবে।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরে দিল্লির নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন। সেখানে উপস্থিতি ছিলেন র ও গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান এন এস এ অজিত ডোভাল। কাশ্মিরের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। কাশ্মিরের সীমান্তে নজরদারি আরো বাড়ানোর কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
এনটি