রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম

মুফতী ফয়জুল করীমের মেয়রের চেয়ারে বসা আটকে আছে কোথায়?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগ্রহিত

আদালতে মামলা করে চট্টগ্রাম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থীরা বসতে পারলেও বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বসতে পারেননি। শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেওয়ায় বিষয়টি ঝুলে আছে আদালতে। এর বাইরেও সরকারের সদিচ্ছাকেও দুষছেন কেউ কেউ। একজন উপদেষ্টার একটি বক্তব্য ঘিরে সেই সন্দেহ আরও জোরালো হয়েছে।

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বিজয়ী হওয়ার কথা থাকলেও তাঁকে জোর করে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হন-এমন অভিযোগ এনে গত ১৭ এপ্রিল বরিশালের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটির শুনানির জন্য গত ২৪ এপ্রিল দিন ধার্য ছিল। ধারণা ছিল, সে দিনই মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমের পক্ষে রায় আসবে। কিন্তু সেই দিন শুনানি করে আদালত আবার ৫ মে শুনানির দিন ধার্য করেন। ফলে বিষয়টি ৫ মে পর্যন্ত ঝুলে গেল।

এদিকে সরকারের একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার একটি বক্তব্য ঘিরে নতুন প্রতিবন্ধকতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তিনি গত শুক্রবার একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর আদালতের রায়ের মাধ্যমে পদে বসাকে সমর্থন করেন না এই স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। তার মতে, এর মাধ্যমে অবৈধ ওই সব নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এটা থেকে বিরত থাকা উচিত।

তার এই বক্তব্যের পর ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং মুফতি ফয়জুল করীমের অনুসারী বলছেন, সরকার চাচ্ছে না বলেই হাতপাখার প্রার্থীকে বরিশালে মেয়র পদে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এটাকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতি বৈষম্য ও অবিচার হিসেবে দেখছেন তারা। ইতোমধ্যে দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। আদালতে শুনানির দিন বরিশালে ব্যাপক বিক্ষোভও হয়েছে। এছাড়া শায়খে চরমোনাইকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও মিছিল হয়েছে।

এদিকে মুফতী ফয়জুল করীমকে মেয়র নির্বাচিত করার দাবি যখন জোরালো হচ্ছে তখন গত ২৩ এপ্রিল আদালতে মামলার আবেদন করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন (তাপস)। বিতর্কিত সেই নির্বাচনে তিনি তৃতীয় হয়েছিলেন আর মুফতি ফয়জুল করীম হয়েছিলেন দ্বিতীয়। জাপা প্রার্থীর এই মামলাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন অনেকেই। তারা বলছেন, হাতপাখার প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা ঠেকানোর জন্যই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে লাঙ্গলের প্রার্থীকে দিয়ে মামলা করানো হয়েছে।

তবে মুফতী ফয়জুল করীম এবং তাঁর অনুসারীরা এখনো হাল ছাড়ছেন না। তারা আগামী ৫ মে’র অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা আশা করছেন, সেদিন আদালত থেকে হাতপাখার পক্ষে রায় আসবে এবং নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি বরিশালের মেয়র পদে বসতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত রায় তাঁর পক্ষে এলে দেশে একটি ইতিহাস রচিত হবে। তিনিই হবেন সিটি করপোরেশনের প্রথম কোনো আলেম মেয়র।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ