ইয়াহইয়া বিন আবু বকর।।
পাকিস্তানের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও পরমাণু বোমার জনক বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির খান মারা গেছেন। রোববার (১০ অক্টোবর) সকালে তিনি ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
জানা যায়, কাদির খান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল৷ চিকিৎসার পর তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে তাকে তার বাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়৷ কিন্তু গতকাল রাতে হঠাৎ করেই তার স্বাস্থ্যর অবনতি ঘটে৷ ফলে রাজধানী ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়৷ আজ সকাল ৭টা ৪ মিনিটে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
১৯৩৬ সালে ভারতের ভূপালে তিনি জন্মগ্রহন করেন। অতঃপর ১৯৪৭ সালে তার পিতা স্বপরিবারে পাকিস্তানে হিজরত করেন৷ ১৯৬৭ সালে নেদারল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন। কাদির খান পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক। জনগণের কাছে তিনি জাতীয় বীর উপাধিতে ভূষিত। কারণ তিনি তার দেশকে বিশ্বের প্রথম ইসলামী পারমাণবিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
১৯৭৪ সালে ভারতের প্রথম পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ পাকিস্তানকে প্রতিবেশী দেশের সাথে প্রতিযোগিতা ও ভারসাম্য বজায় রেখে চলার প্রচেষ্টা চালাতে উৎসাহিত করে। তাই তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭৫ সালে হোল্যান্ড থেকে আবদুল কাদিরকে তলব করে পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন৷
১৯৭৬ সালে, পাকিস্তানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী কাদির খান তার দেশের পারমাণবিক কর্মসূচিকে আরো উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেন৷ মূলত তার কঠোর গোপনীয়তা তাকে পাকিস্তানি পারমাণবিক বোমা প্রকল্পের সাফল্যের ক্ষেত্রে সহায়তা করে৷ পাশাপাশি পশ্চিমা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে তার সম্পর্ক তাকে তার গবেষণাগার তৈরি করতে এবং তার গবেষণা বিকাশে সাহায্য করবে এমন জিনিস কিনতে উৎসাহ এবং সহায়তা করে৷
আজ বিকেল ৩টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে৷ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে পাকিস্তানের “মসজিদে ফায়সালে”র আঙ্গিনায় দাফন করা হবে। - আল জাজিরা ও ডেইলী জং
-এএ