রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

আল্লাহর ঘর, মসজিদের অর্থ কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মূল: ড. সাঈদ বিন আলী বিন ওহাফ আল-কাহতানী
অনুবাদ: জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের

যদি মসজিদ শব্দটি দ্বারা উদ্দেশ্য পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের জন্য নির্মিত বিশেষ স্থান হয়, তাহলে এর বহুবচন مساجد মাসাজেদ। আর যদি মসজিদ দ্বারা উদ্দেশ্য কপাল রাখার স্থান হয়, তাহলে শব্দটির জিম যবর বিশিষ্ট হবে, অর্থাৎ সেজদা করার স্থান |
মোটকথা, মসজিদ শব্দের আভিধানিক অর্থ: সেজদা করার স্থান।

পরবর্তীতে এ শব্দের অর্থ ব্যাপকতা লাভ করে এর অর্থ হয়, ঐ ঘর যে ঘরকে মুসলিমদের সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে একত্র হওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে।

আল্লামা যরকশি রাহিমাহুল্লাহু বলেন, সালাতের কর্মসমূহের মধ্য হতে সেজদা আল্লাহর নৈকট্য লাভের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্ম হওয়াতে সালাত আদায়ের স্থানের নামকে সেজদা থেকেই নেয়া হয়েছে। এ কারণেই মসজিদকে মসজিদ مسجد বলা হয়ে থাকে মারকা مركع বলা হয় না। তারপর বর্তমানে মসজিদ শব্দটি সালাতের জন্য নির্মিত স্থানের সাথেই খাস। এ কারণেই লোকেরা ঈদের সময় সালাত আদায়ের জন্য ঈদ গাহে একত্র হয়; কিন্তু তাকে মসজিদ বলে না।

ইসলামী পরিভাষায় মসজিদ:
স্থায়ীভাবে সালাত আদায়ের জন্য যে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, তাকে শরীয়তের পরিভাষায় মসজিদ বলে। শরিয়তের দৃষ্টিতে মসজিদের মূল অর্থ হল, ভূ-খণ্ডের এক টুকরো জায়গা যেখানে আল্লাহর জন্য সেজদা করা হয়। কারণ, যাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «.. وجُعِلَت لي الأرض مسجداً وطهوراً، فأيُّما رجل من أمّتي أدركته الصلاة، فليصلِّ »

“আমার জন্য জমিনকে মসজিদ ও পবিত্র করা হয়েছে। আমার উম্মতের কোন ব্যক্তিকে যেখানেই সালাত পেয়ে থাকে, সে যেন সেখানেই সালাত আদায় করে নেয়।

এটি আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তার পূর্বে যারা নবী ছিলেন, তাদের জন্য সব স্থানে সালাত আদায় করার অনুমতি ছিল না, তাদেরকে শুধু মাত্র গির্জা ও উপাসনালয়ে সালাত আদায় করতে হত।

আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদিস দ্বারাও বিষয়টি প্রমাণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করে বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «... وأينما أدركتك الصلاة فصلِّ، فهو مسجد » “যেখানেই তোমাকে সালাত পেয়ে বসে, তুমি সালাত আদায় কর, এটিই মসজিদ ”।

ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহু বলেন, শরীয়ত যে সব স্থানে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছে, যেমন- কবরস্থান, নাপাক-স্থান, ময়লা আবর্জনা ফেলার স্থান ইত্যাদি ছাড়া বাকী সব জায়গায় সালাত আদায় করা জায়েয আছে। অনুরূপভাবে যে কোন কারণেই হোক যে সব স্থানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন, যেমন- উট বাঁধার স্থান, মানুষের চলাচলের স্থান, গোসলখানা ইত্যাদি, সে সব স্থানে সালাত আদায় করা যাবে না।

আর জামে‘ হল, মসজিদের একটি গুণ। এ নামে নামকরণ করার কারণ হল, মসজিদ মুসল্লীদের একত্র করে বা মসজিদে মুসল্লীরা একত্র হয়। অথবা মসজিদ হল লোকজনের একত্র হওয়ার আলামত। এ কারণেই মসজিদকে জামে‘ মসজিদ বলা হয়ে থাকে। যে মসজিদে জুমুআ‘র সালাত আদায় করা হয়, সে মসজিদকেও জামে‘ মসজিদ বলা হয়; যদিও মসজিদ ছোট হয়। কারণ, নির্দিষ্ট সময়ে এ মসজিদটি মানুষকে একত্র করে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ