শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আল্লামা গহরপুরী রহ.-এর বাড়ির মসজিদের পুনঃনির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আরবি শব্দের বাংলা প্রতিবর্ণায়ন নির্দেশিকা করতে ইফাবাকে তাগিদ ভারতীয় মুসলমানদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে : মুহিব খান ‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিচারকদের ভয় দেখানো হতো’ একজন পাকিস্তানিরও ক্ষতি হলে ভয়াবহ পরিণাম হবে: খাজা আসিফ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আসছেন না পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে পর্যটক হত্যার দায়ভার কি ভারত এড়াতে পারে? আ. লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে : আমিরে মজলিস জর্ডানে নিষিদ্ধ হলো মুসলিম ব্রাদারহুড  নারী সংস্কার কমিশনের ইসলামফোবিয়া নিয়ে জাতীয় সেমিনার ৩০ এপ্রিল

কর্ণাটকের পর এবার দিল্লির সরকারি স্কুলে হিজাব বিতর্ক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: স্কুল-কলেজে হিজাব পরা নিয়ে কর্ণাটকে এখনো বিতর্ক চলছে। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা চলছে। এই অবস্থায় দিল্লির সরকারি স্কুলে হিজাব বিতর্ক শুরু হলো।

মুস্তাফাবাদ এলাকায় একটি স্কুলে এক ছাত্রীকে হিজাব খুলে ক্লাসে যেতে বলা হয়েছিল। ওই ছাত্রী একটি ভিডিওতে এই অভিযোগ করে। ভিডিওটি যথারীতি ভাইরাল হয়। তারপর দিল্লি সরকার এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে।

দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের এ ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তারা কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। কিছু মানুষ এই নিয়ে রাজনীতি করছেন বলে তার অভিযোগ।

দিল্লিতে আপ সরকার আসার পর সরকারি স্কুলের অনেক উন্নতি হয়েছে। স্কুলে ড্রেস কোড তৈরি হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা সেই কোড মেনেই পোশাক পরে।

মুস্তাফাবাদের স্কুলের ওই ছাত্রীটি ভিডিওতে অভিযোগ করে, স্কুলে যাওয়ার পর এক শিক্ষক তাকে হিজাব খুলতে বলে। তাকে বলা হয়, মায়ের মতো না হতে। স্কুলে হিজাব পরে না আসতে। আরও দুই তিনজন ছাত্রীকেও হিজাব খুলতে বলা হয়।

সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত কয়েক দশক ধরে দিল্লির স্কুলে চালু রীতি হলো, ছাত্রীরা স্কুলে আসার পথে হিজাব পরে, কিন্তু ক্লাসে তারা তা খুলে রাখে। এক্ষেত্রে তাই ছাত্রীটি হিজাব পরে স্কুলে আসার পর শিক্ষক তাকে ওই অনুরোধ করেন। তবে পরে অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয় এবং বিরোধ মিটে যায়।

শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির সরকারি স্কুলে সব ধর্মের ছাত্রছাত্রীকে সমানভাবে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে সমান ব্যবহার করা হয়। তাদের উপর কোনো রকম বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেওয়া হয় না। ঐতিহ্য মেনে চলা হয়।

সিসোদিয়া বলেন, “আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। আমার মনে হয় না, আর কোনো সমস্যা আছে। শিক্ষা বিভাগ কোনো রকম বিধিনিষেধ চালু করেনি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তাই এত হইচই হচ্ছে।”

এনটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ