আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মুসলমানরা আজ নির্যাতিত। এই রমজান মাসে পবিত্র আল-আকসা মসজিদের হামলা চালিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলী বাহিনী শতশত রোজাদার মুসলমানকে আহত করেছে। মসজিদুল আকসায় মুসলমানদের ইবাদতে বাঁধার সৃষ্টি করছে।
আজ (১৬ এপ্রিল) শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর পল্টনস্থ সী-গাল রেস্টুরেন্টে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম তুহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রদান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।
আমরা এ বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আল-আকসা মসজিদে রোজাদার মুসল্লিদের উপর ইসরাইলী আক্রমণ বিশ্ব মুসলিম বরদাস্ত করবে না।
তিনি বলেন, আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রীদের নামাজে বাঁধা দেয়া হচ্ছে- এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টসে নারীদের হিজাব পরতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে হবে। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুল্লাহ পরিদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আবদুল লতিফ মাসুম, যুগ্মমহাসচিব এডভোটে জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, ডক্টরস সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি ডাঃ আবদুল্লাহ খান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, এডভোকেট মোঃ মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম।
উলামা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ওযায়ের আমীন, বীর মুকিবতযোদ্ধা মোঃ ফয়জুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, সহসভাপতি খন্দকার সাহাব উদ্দিন আহমদ, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ মনির হোসাইন, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি হাজী নূর হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহসভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা নূরুল হক।
মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন, এইচএম হুমায়ুন কবির আজাদ, কাজী আরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হোসাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে হামদ-নাত পরিবশন করেন দাবানল শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যবৃন্দ।
প্রধান আলোচক ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, রমজান মাসে আমাদের প্রথম কিবলা আল-আকসায় মুসলমানদের রক্ত ঝড়িয়ে, শিশুদের রক্ত ঝড়িয়ে ইসরাইল বিশ্বের একশত আশি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। বিশ্ব মুসলিমের দূরাবস্থা উত্তরনের একমাত্রও পথ হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর ইস্পাত কঠিন ঐক্য। মাহে রমজানের শিক্ষা অনুযায়ী আমাদের ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবন সাজাতে হবে।
তিনি বলেন, মাহে রমজানে নামাজির সংখ্যা বাড়ে কিন্তু দুখ:জক হলেও সত্য আমাদের দেশে রমজান মাস আসলে ছিনতাই, চাঁদাবাজী, মজুদদারী, ঘুষ-দুর্নীতিও বেড়ে যায়। আমাদের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে নানামুখী চক্রান্ত চলছে। অশ্লীলতা বেহায়াপনা, মদ, জুয়া, ঘুষ-দুর্নীতি, অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। মুসল্লীদের ইবাদতে বিঘœ ঘটে এমন তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। এ অবস্থা বদলাতে হবে।
ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, মুসলিম উম্মাহর বড় ব্যর্থতা হচ্ছে অনৈক্য। অনৈক্যের কারণে মুসলমানরা মার খাচ্ছে। বিভক্তি পরিহার করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ইফতারির পূর্বে দেশ- জাতি ও মুসলিম উম্মাহ শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া-মুনাজাত পরিচালনা করেন আমীরে মজলিস অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক।
-এটি