মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫ ।। ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৮ জিলকদ ১৪৪৬


দেশের ডাকঘরগুলো সম্পূর্ণ ডিজিটাল করা হবে: মোস্তাফা জব্বার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাণিজ্য যত বাড়বে, ডাকঘরের চাহিদা ও গুরুত্ব তত বাড়বে। এ লক্ষ্যে ডাকঘরকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তর করা হবে।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবন মিলনায়তনে ডাক অধিদপ্তর ও এটুআই প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল ডাকঘর বিষয়ক গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত এক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সেলিমা সুলতানা, এটুআই-এর চিফ ই-গভর্নেন্স ট্র্যাটেজিস্ট ফরহাদ জাহিদ শেখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রণীত ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব (ডিএসডিএল) প্রস্তাব ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।

এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে। ডাক বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহসাই ডাকসেবা কাঙ্খিত মানে উন্নীত হবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিজিটাল ডাকঘরের মহাপরিকল্পনা ও কর্মকৌশল ডিজিটাল উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ডাকঘরের মাধ্যমে জনগণকে সেবা দেওয়ার বিশাল সুযোগ কাজে লাগানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো এবং জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা ডাক বিভাগের আছে।

মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবেই সীমিত না। বিশ্ব এখন পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে পা রেখেছে। জাপান সোসাইটি ৫.০ এর কথা বলছে। এর মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত, বৈষম্যহীন জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবো।

তিনি ডাকঘরকে ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পৃথক একটি ডিজিটাল সেল গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এই সেলে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগেরও আহ্বান জানান।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাক বিভাগকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ডিজিটাইজেশনে যেখানে সমস্যা হবে তা সমাধানে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেওয়া হবে। আগে আমাদের জানতে হবে মানুষ ডাকঘর থেকে কী প্রত্যাশা করে।

এসময় ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন ডাক অধিদপ্তরকে ডিজিটাইজ করতে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ