সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

‘অশনি’র প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর: সংকেত মানছেন না অনেক পর্যটক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। এজন্য কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে হাল্কা বৃষ্টি ও সতর্কতা সংকেত উপেক্ষা করে সাগরে নামছেন কিছু পর্যটক। লাইফগার্ডদের নির্দেশনাও মানছেন না তারা।এজন্য জেলা প্রশাসন তাদের সতর্ক করেছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে সৈকতে দেখা গেছে হাজার হাজার পর্যটক। অনেকে বলছেন, এমন আবহাওয়ায় সাগরে রূপ দেখতে এসেছেন তারা।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ জানান, ঈদের ছুটির পরও কক্সবাজারে এখনও প্রচুর পর্যটক অবস্থান করছেন। সৈকতে সমুদ্র স্নানের ক্ষেত্রে পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে।
লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদীন বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় তারা সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন। হাঁটু পানির গভীরে সাগরে না নামার জন্য হ্যান্ড মাইকে বারবার সতর্ক করা হলেও অনেক পর্যটক তা মানছেন না।

এদিকে বৈরি আবহাওয়ায় সৈকত ভ্রমনে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, পর্যটকদের সাগরে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। হোটেলগুলোতেও বলে দেওয়া হয়েছে তারা যেন পর্যটকদের এ বিষয়ে অবগত করেন। এছাড়াও সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া সিপিপির ৮৬০০ ও রেড ক্রিসেন্টের ২২০০ স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি ৮৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রবল হলে আশ্রয়কেন্দ্রে উপকূলের ৫ লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ