সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

আগুনে দগ্ধ হয়ে পিতাপুত্রসহ ৩ রোহিঙ্গার মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ পিতাপুত্রসহ তিনজন ৬ দিনের মাথায় মারা গেছেন। গত ১২ মে ক্যাম্প-১ ডি/৪ ব্লকে নুরুল আলমের ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুন সূত্রপাত।

দুর্ঘটনায় দগ্ধ ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর ও সন্ধ্যায় তারা মারা যান বলে জানিয়েছেন ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন-১৪ এর অধিনায়ক (এসপি) নাইমুল হক নাইম।

নিহতরা হলেন, ক্যাম্প-১ ডি/৪ ব্লকের আজগর আলীর ছেলে নুরুল আলম (৫৯), তার ছেলে আনোয়ার কামাল (১২) ও ক্যাম্প ১/ইস্ট, ব্লক ডি/৪'র আলী আহমেদের ছেলে হাফিজুল মোস্তফা (৭)।

গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ৬ রোহিঙ্গাগ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ৬ রোহিঙ্গা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নাইমুল হক জানান, গত ১২ মে কুতুপালং ক্যাম্প-১ ডি/৪ ব্লকে নুরুল আলমের ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়। এসময় তার স্ত্রী চুলায় রান্না বসাতে গেলে আগুন ধরে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। তাতে ঘরে ও আশপাশে থাকা ছয়জন দগ্ধ হন।

আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বার্ন ইউনিটে তারা সবাই চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ অবস্থায় দুপুরে বাবা নুরুল আলম, বিকেলে ছেলে আনোয়ার সন্ধ্যায় অপরজন মারা যায় বলে জানানো হয়।

ক্যাম্প ১/ইস্ট, ব্লক ডি/৪ এর হেড মাঝি তৈয়ব জানান, উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে ১২ মে সকালে ক্যাম্প ১/ইস্ট এর ব্লক-ডি ৪ এ রোহিঙ্গা নুর আলমের ঘরে গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ হন নারী শিশুসহ ৬ জন রোহিঙ্গা। দগ্ধ সবাইকে ক্যাম্পে এনজিও হাসপাতালে ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের সবাইকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পিতাপুত্রসহ তিনজন মারা যান।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ