কাউসার লাবীব: রাজধানীর এতিহ্যবাহী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ঢাকা’র শায়েখে সানী ও নাযেমে তালীমাত মুফতী মুহাম্মাদ তৈয়ব কাসিমী’র জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ আগস্ট) ফেনীর ধুমসাদ্দা রশিদিয়া ইসলামীয়া মাদরাসায় বাদ আসর তার ছেলে হাফেজ মুহাম্মদ তকির ইমামতিতে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে নিজ এলাকায় দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রাজ্ঞ এ আলেমেদ্বীন দীর্ঘদিন ধরেই হার্টের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। তাৎক্ষণিক রাজধানীর কর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুফতী মুহাম্মাদ তৈয়ব কাসিমী ব্যক্তিগত জীবনে তিন মেয়ে ও দুই ছেলের জনক। তিনি বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের সাবেক উস্তাযুল হাদীস ও আল্লামা শাহ আবদুল আযীয রাহিমাহুল্লাহ এর খলিফা। দীর্ঘ শিক্ষকতার জীবনে তিনি তাফসির, হাদিস, ফিকহ ও ইতিহাস শাস্ত্রে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। তার ইলমের মাহারাত, সুবিন্যস্ত আমল, উন্নত আখলাক ছিলো মুগ্ধ করার মতো।
মুফতী তৈয়ব কাসিমী’র ইন্তেকালে মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদের শোক
রাজধানীর এতিহ্যবাহী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ঢাকা’র শায়েখে সানী ও নাযেমে তালীমাত মুফতী মুহাম্মাদ তৈয়ব কাসিমী ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, স্বনামধন্য আলেমে দ্বীন মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকাবার্তা তিনি বলেন, মুফতী মুহাম্মাদ তৈয়ব কাসিমী আমার দীর্ঘ দেড় যুগের সহকর্মী। পূর্বে বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ও পরে মারকুযুশ শাইখের শুরু লগ্ন থেকে আমরা এক সঙ্গে পথ চলছি। তার মতো একজন বিদগ্ধ আলেমেদ্বীনকে হারিয়ে আমি বাকরুদ্ধ।
তিনি বলেন, মুফতী তৈয়ব ছাহেব ছিলেন প্রচার বিমুখ গবেষক আলেম, ছাত্র গড়ার নিপুন কারিগর। ইলমের প্রায় প্রতিটি শাস্ত্রেই তার উল্লেখযোগ্য মাহারাত ছিল। কঠিন থেকে কঠিন কিতাব তিনি সাবলীলভাবে ছাত্রদের সামনে তুলে ধরতেন। তাফসিরে বাইযাবি, শরহুল আকায়েদ, সহিহ বুখারী সানী, সুনানে তিরমিজি আউয়াল, সুনানে আবু দাউদের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিতাব তিনি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে পড়িয়েছেন বছরের পর বছর। হাজার হাজার যোগ্য আলেম তার হাতে গড়ে উঠেছে।
মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ বলেন, ইলমে তাসাউফেও তিনি ছিলেন সচেতন ও প্রাজ্ঞ এক রাহবার। হাটহাজারী মাদরাসা সাবেক শাইখুল হাদিস আল্লামা শাহ আবদুল আযীয রাহিমাহুল্লাহ তাকে খেলাফত ও ইজাযত দিয়েছিলেন। সবার কাছে দোয়া চাই, তাকে হারিয়ে আমরা যে অভাবের মুখোমুখি হয়েছি তা যেন আল্লাহ তায়ালা নিজ কুদরতি হাতে পূরণ করে দেন।
কেএল/